সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি পযাের্লাচনা কমিটির মেয়াদ ৯০ কাযির্দবস বাড়িয়েছে সরকার।
এই কমিটির মেয়াদ ১৫ কাযির্দবসের অতিরিক্ত আরও ৯০ কাযির্দবস বাড়িয়ে বৃহস্পতিবার আদেশ জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
নতুন করে আন্দোলন দানা বঁাধার প্রেক্ষাপটে গত ২ জুন সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি পযাের্লাচনা করতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের নেতৃত্বে সাত সদস্যের এই কমিটি করে সরকার। কমিটিতে সাতজন শীষর্ সরকারি কমর্কতাের্ক সদস্য করা হয়।
কমিটিকে কমিটি গঠনের দিন থেকে ১৫ কমির্দবস অথার্ৎ আগামী ২৩ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল।
সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলে সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ঘোষণার’ ২ মাস ২২ দিন পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কোটা পযাের্লাচনায় কমিটি করে।
বতর্মানে সরকারি চাকরিতে নিয়োগে ৫৬ শতাংশ পদ বিভিন্ন কোটার জন্য সংরক্ষিত; এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ, নারী ১০ শতাংশ, জেলা ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ৫ শতাংশ, প্রতিবন্ধী ১ শতাংশ।
কোটার পরিমাণ ১০ শতাংশে কমিয়ে আনার দাবিতে কয়েক মাস আগে জোরালো আন্দোলন গড়ে তোলে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’, যা ঢাকার বাইরেও ছড়িয়ে পড়ে।
আন্দোলনের একপযাের্য় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১১ এপ্রিল সংসদে বলেছিলেন, কোটা পদ্ধতিই থাকবে না, এটা ‘বাতিল’।
একই সঙ্গে ওই দিনই কোটা নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি করার কথাও বলেছিলেন, যে কমিটি পরবতীর্ সুপারিশ করবে।
তবে প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি সংসদে বলেছেন, কোটা পদ্ধতি থাকবে। মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ রাখতে হাইকোটের্র রায় আছে।
কোটা পযাের্লাচনা কমিটি গত ৮ জুলাই তাদের প্রথম সভা করে কমর্পন্থা নিধার্রণের পাশাপাশি সরকারি চাকরিতে কোটা সংক্রান্ত দেশি-বিদেশি সব ধরনের তথ্য সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেয়।