ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভর্তি বাণিজ্য এবং অবৈধভাবে শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে কাজ শুরু করেছে তদন্ত কমিটি।
মঙ্গলবার তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি রাজধানীর বেইলি রোডের মূল ক্যাম্পাস পরিদর্শন করেছেন বলে জানা গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ফেরদৌসি বেগম মঙ্গলবার বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের অধীন তিন কর্মকর্তা ভর্তি বাণিজ্য ও শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে তথ্যের জন্য বেইলি রোডের মূল ক্যাম্পাসে আসেন। সকাল সাড়ে ১০টায় তদন্ত কমিটির সদস্যরা আসেন, দুপুর সাড়ে ১২টায় চলে যান।
তিনি বলেন, এ বছর যেসব শিক্ষার্থী ভিকারুননিসায় ভর্তি হয়েছে সেই তথ্য চেয়েছেন তারা। এ ছাড়া নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের তথ্য আগামী তিন দিনের মধ্যে দিতে বলেছে কমিটি।
অধ্যক্ষ আরও বলেন, 'আমি গত ১৫ দিন আগে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছি। তাই বিষয়গুলো আমার জানা ছিল না। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে তাদের কাছে লিখিত ব্যাখ্যা চাওয়া হবে।
এরপর তদন্ত কমিটিকে তা বুঝিয়ে দেয়া হবে।'
তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান হিসেবে রয়েছেন ঢাকা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের উপপরিচালক মনোয়ার হোসেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এ তদন্ত কমিটি গঠন করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)।
মনোয়ার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'আমরা তদন্ত কাজের তথ্য সংগ্রহে মঙ্গলবার ভিকারুননিসার মূল ক্যাম্পাস পরিদর্শন করেছি। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে সেসব শিক্ষকের তথ্য চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ভর্তি বাণিজ্যের যে অভিযোগ উঠেছে সেই পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীর তথ্যও চাওয়া হয়েছে। তথ্য-উপাত্ত পাওয়ার পর দ্রম্নত তদন্ত প্রতিবেদন মাউশিতে জমা দেয়া হবে।'
উলেস্নখ্য, চলতি বছর ভিকারুননিসায় পাঁচ শতাধিক অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তির অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া অর্থ আদায়ের মাধ্যমে বেশকিছু শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে অভিভাবক ও শিক্ষকরা সম্মলিতভাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দেন। তার ভিত্তিতে সম্প্রতি তিন সদস্যবিশিষ্ট ওই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।