শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
বনানীর এফআর টাওয়ার

৬৭ জনকে দায়ী করে তদন্ত প্রতিবেদন

যাযাদি রিপোর্ট
  ২৩ মে ২০১৯, ০০:০০
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত এফআর টাওয়ার

রাজধানীর বনানীর অগ্নিকবলিত টাওয়ারের নকশা অনুমোদন এবং নির্মাণকাজের ত্রম্নটির জন্য গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) কর্মকর্তা-কর্মচারী, সংশ্লিষ্ট আবাসন প্রতিষ্ঠানসহ অন্তত ৬৭ জনকে দায়ী করে এ সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সরকার। দায়ী ব্যক্তিদের তালিকায় রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন খাদেমও রয়েছেন।

বুধবার সচিবালয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেন।

তদন্ত কমিটি বলেছে, এফআর টাওয়ারের ১৮ তলার নকশা অনুমোদন করা হয়েছিল বিধি লঙ্ঘন করে। তার ওপরে আরও পাঁচটি

ফ্লোর নির্মাণের নকশাকে বৈধতা দিতে বিভিন্ন পর্যায়ে দুর্নীতি হয়। ত্রম্নটি ও নিয়মের ব্যত্যয় ছিল ভবনটি নির্মাণের ক্ষেত্রেও।

নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রূপায়ন হাউজিং লিমিটেড ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে নকশার ব্যত্যয় ঘটিয়েছে বলে প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি।

পাশাপাশি ওই জমির মালিক সৈয়দ মো. হোসাইন ইমাম ফারুক এবং এফআর টাওয়ার ওনার্স সোসাইটিও অগ্নিদুর্ঘটনার দায় এড়াতে পারে না বলে কমিটি মনে করছে।

সংবাদ সম্মেলনে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, যাদের নাম এ প্রতিবেদনে এসেছে, তাদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

গত ২৮ মার্চ এফআর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ২৭ নিহত হওয়ার পর এই ভবন নির্মাণে নানা অনিয়মের বিষয়গুলো বেরিয়ে আসতে থাকে।

এই ভবনের জমির মূল মালিক ছিলেন প্রকৌশলী এস এম এইচ আই ফারুক। অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ভবনটি নির্মাণ করে রূপায়ন হাউজিং এস্টেট লিমিটেড। সে কারণে সংক্ষেপে ভবনের নাম হয় এফআর টাওয়ার।

অগ্নিকান্ডের পর সরকারের বিভিন্ন সংস্থা চারটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তার একটি গঠন করে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, ১৯৯০ সালে এফআর টাওয়ারের মাল্টি পারপাস কমার্শিয়াল ১৫ তলা ভবনের নকশা অনুমোদন প্রক্রিয়া এবং অনুমোদন যথাযথ ছিল।

কিন্তু ১৯৯৬ সালে ওই ভবনের ১৮ তলা আবাসিক কাম বাণিজ্যিক ভবনের নকশা অনুমোদনের ক্ষেত্রে ইমারত বিধিমালা মানা হয়নি।

'১৯৯৬ সালের ইমারত বিধিমালা জারি হওয়ার পরেও বনানীর এফআর টাওয়ারের নকশা অনুমোদন করা হয় ১৯৮৪ সালের পুরনো বিধিমালার আলোকে। এক্ষেত্রে রাজউকের তৎকালীন চেয়ারম্যান হুমায়ুন খাদেম তার দায় এড়াতে পারেন না।'

এই বিধি লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে হুমায়ুন খাদেম ছাড়াও রাজউকের সাবেক সদস্য ডি এম ব্যাপারী, রাজউকের সাবেক নগর পরিকল্পনাবিদ জাকির হোসেন, সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইদুর রহমান, সাবেক অথরাইজড অফিসার-২ সৈয়দ মকবুল আহমেদ, সাবেক সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ উলস্নাহ এবং জমির মূল মালিক এস এম এইচ আই ফারুককে দায়ী করা হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<50737 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1