শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ওসির কাছে চঁাদা দাবি, ছাত্রলীগের চার নেতা আটক

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
  ২৪ জুন ২০১৮, ০০:০০
আপডেট  : ২৪ জুন ২০১৮, ২২:১৭
নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কমর্কতার্র (ওসি) কাছে চঁাদা চাইতে গিয়ে আটক হন ছাত্রলীগের চার নেতা। রোববার তাদের ডিবির হাতে তুলে দেয় হয় Ñযাযাদি

ময়মনসিংহের নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কমর্কতার্র (ওসি) কাছে চঁাদা চাইতে গিয়ে আটক হয়েছেন ছাত্রলীগের চার নেতা। তাদের গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।

রোববার বেলা ১১টার দিকে তাদের ডিবির হাতে তুলে দেয় নান্দাইল থানা-পুলিশ। পুলিশ সূত্র জানায়, নান্দাইল থানার ওসি মো. কামরুল ইসলাম মিয়ার কাছে শনিবার সকালে তার কাযার্লয়ে গিয়ে ২০ হাজার চঁাদা চান ছাত্রলীগের চার নেতা। ওই সময় তাদের আটক করা হয়। পরে ঊধ্বর্তন পুলিশ কমর্কতাের্দর নিদেের্শ চারজনকে নিজেদের কাযার্লয়ে নিয়ে যান জেলা ডিবির সদস্যরা।

আটক চার নেতা হলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি রাজু আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল হাসান ওরফে রয়েল, পৌর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি টিটু চন্দ্র দে এবং কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য মো. কামরুল ইসলাম।

ময়মনসিংহের গৌরীপুর সাকেের্লর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. শাখের হোসেন সিদ্দিকী চারজনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম নিজে ঘটনাটি তদারক করছেন।

ওসি মো. কামরুল ইসলাম মিয়া বলেন, বেলা ১১টার দিকে ওই চারজন তার কাযার্লয়ে প্রবেশ করে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুল আলম ওরফে ফয়সালের কথা বলে ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। তিনি ওই নেতাকে চেনেন না এবং তার (ওসি) সঙ্গে ওই নেতার কোনো লেনদেন নেই বলে জানান। ওসির এ মন্তব্যে ছাত্রলীগের ওই চার নেতা ক্ষুব্ধ হয়ে ওসিকে নানা ধরনের কটূক্তি করতে থাকেন। একপযাের্য় ওয়াহিদুল আলমকে থানায় নিয়ে আসার জন্য বলেন ওসি। কিন্তু সেটা না মেনে তাদের হাতেই টাকা তুলে দেয়ার জন্য ওসিকে চাপাচাপি করতে থাকেন ওই চারজন।

পরে বিষয়টি ঊধ্বর্তন কমর্কতাের্দর অবহিত করেন ওসি কামরুল ইসলাম মিয়া। প্রত্যক্ষদশীের্দর একটি সূত্র জানায়, ছাত্রলীগের ওই চার নেতা ওসির কক্ষে আসার ঘণ্টা খানেকের মধ্যে জেলা ডিবি পুলিশের একটি দল বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য নিয়ে নান্দাইল থানায় আসে। ডিবির দলটি ওসির কক্ষ থেকে ছাত্রলীগের চার নেতাকে হাতকড়া পরিয়ে দ্রæত জেলা ডিবি কাযার্লয়ে নিয়ে যায়। এর আগে চার নেতা আটক হওয়ার খবর শুনে সরকারি দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা থানায় এসে তাদের ছাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা করে ব্যথর্ হন। পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা করে নান্দাইল শহরে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, নান্দাইলে ছাত্রলীগের কোনো কমিটি নেই। ফলে চার নেতা আটকের ঘটনা প্রসঙ্গে দায়িত্ব নিয়ে কেউ মন্তব্য করতে রাজি হননি।

নান্দাইল থানার ওসি বলেন, থানায় প্রবেশ করে চঁাদাবাজির চেষ্টা ও পুলিশের কাজে বাধা প্রদানের ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে