শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

গাজীপুর জয়ে মরিয়া আ’লীগ-বিএনপি

প্রচার-প্রচারণা শেষ কাল ভোটগ্রহণ নিষেধাজ্ঞা ভেঙে প্রচার আ’লীগ নেতাদের আবহাওয়া সুবিধার মনে হচ্ছে না: হাসান সরকার
ফয়সাল খান, আবুল হোসেন গাজীপুর থেকে
  ২৪ জুন ২০১৮, ০০:০০
আপডেট  : ২৫ জুন ২০১৮, ১১:৪২
জাহাঙ্গীর আলম হাসান উদ্দিন সরকার

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নিবার্চনের প্রচারণা শেষ হয়েছে সোমবার মধ্যরাতে। কাল সেখানে ভোট নেয়া হবে। আর এই নিবার্চনের ফলাফল নিজেদের অনুক‚লে নিতে দিন-রাত ভোটারদের দুয়ারে ঘুরেছেন প্রাথীর্রা। শেষ মুহ‚তের্ ভোটারদের মন জয় করতে নানা প্রতিশ্রæতির ফুলঝুড়ি ছড়িয়েছেন তারা। বিশেষ করে শ্রমিক ও ভাসমান ভোটারদের সমথর্ন পেতে নানা কৌশলও অবলম্বন করেছেন। তবে শেষ মুহ‚তের্র প্রচারণায় বিধি ভঙ্গ করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। কেন্দ্রীয় ও বহিরাগত নেতাকমীের্দর নিয়ে প্রচারণা, সভা ও সংবাদ সম্মেলন করেছে দলটি। খুলনার ধারাবাহিকতায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভোট চাইছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতাকমীর্রা। আর গ্রেপ্তার-নিযার্তন উপেক্ষা করে কমীের্দর মাঠে থাকার আহŸান জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা। এই নিবার্চনের মাধ্যমে কমিশনের মুখোশও জাতির সামনে উন্মোচন করতে চান তারা। শনিবার রাত ১২টা থেকে গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকা থেকে বহিরাগত ব্যক্তিদের চলে যাওয়ার নিদের্শনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে নিবার্চন কমিশন। ২২ জুন এ-সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করা হয়। ২৬ জুন ভোটের দিন পযর্ন্ত ওই এলাকায় বহিরাগত ব্যক্তিদের চলাফেরায় এই বিধিনিষেধ বলবৎ থাকার কথা। তবে এই নিদের্শনা ভেঙে গাজীপুরে নিবার্চনী কমর্কাÐ পরিচালনা করেছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল গতকাল নগরীর হারিকেন এলাকায় মতবিনিময় সভা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্যও দিয়েছেন। অন্যদিকে, খুলনা সিটি করপোরেশনের নিবাির্চত মেয়র ও খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আবদুল খালেক চালিয়েছেন নিবার্চনী প্রচারণা। রোববার দুপুরে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করেন মহিবুল হাসান। গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকার বাসিন্দা বা ভোটার না হওয়া সত্তে¡ও সেখানে অবস্থানের বিষয়ে সাংবাদিকরা তার কাছে জানতে চাইলে নওফেল বলেন, এ ধরনের প্রজ্ঞাপনের বিষয়ে তার জানা নেই। এদিন যে আসা যাবে না, সেটা তিনি জানতেন না। সোমবার থেকে প্রচারণা বন্ধ বলে জানতেন তিনি। এ সময় সাংবাদিকরা জ্ঞাপনটি দেখালে তিনি বলেন, ‘সরি, আমি জানতাম না। চলে যাচ্ছি। টাইম নিয়ে কনফিউজড ছিলাম। চলে যাচ্ছি, তা না হলে বিধি লঙ্ঘন হবে।’ চান্দনা চৌরাস্তা ও শালনা এলাকায় ক্ষমতাসীন দলের মেয়রপ্রাথীর্ জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে প্রচারণা চালিয়েছেন খুলনার মেয়র তালুকদার আবদুল খলেক। জাহাঙ্গীর আলমের হারিকেন এলাকার বাসার নিচে সংবাদ সম্মেলনে এসে উপস্থিত হন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রাথীর্ আতিকুল ইসলাম ও শ্রমিক লীগ নেতা রায় রমেশ চন্দ্র। কিন্তু নিদের্শনার বিষয়টি জেনে তারাও চলে যান সেখান থেকে। দলীয় মেয়রপ্রাথীর্র পক্ষে নাওজোর এলাকায় প্রচারণা চালান ময়মনসিংহ ১০ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য ফাহ্মী গোলন্দাজ বাবেলসহ আশপাশের জেলা-উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকমীর্রা। এ বিষয়ে সংসদ সদস্য বাবেল বলেন, প্রচারণা চালাতে আসেননি। ঢাকায় যাচ্ছিলেন। নৌকার প্রচারণা দেখে নেমেছেন। নিবার্চন কমিশনের নিদের্শনা থাকা সত্তে¡ও আওয়ামী লীগ নেতাদের গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকায় নিবার্চনী প্রচারে আসা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মেয়রপ্রাথীর্ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘নিবার্চনী প্রচারে ব্যস্ত ছিলাম। প্রজ্ঞাপনের ব্যাপারে আমিও জানতাম না। এই আইনের আর কোনো লঙ্ঘন ঘটবে না। এখানে সন্ত্রাসীরা যেন ভিড়তে না পারে, আমি প্রশাসনকে আগে অনুরোধ করেছিলাম। বহিরাগতদের আসার বিরুদ্ধে আমি ছিলাম সবচেয়ে সজাগ।’ প্রসঙ্গত, নিবার্চনী প্রচারণার শুরু থেকেই আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়রপ্রাথীর্ বহিরাগতদের নিয়ে অভিযোগ করে আসছেন। বিভিন্ন সময় প্রধান প্রতিদ্ব›দ্বী বিএনপি প্রাথীর্ হাসান উদ্দিন সরকারের পক্ষে কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রচারণায় অংশ নেয়ার সমালোচনা করেন তিনি। এদিকে, প্রচারণার শেষ দিন ব্যস্ত সময় কাটান গাজীপুর সিটি করপোরেশন নিবার্চনে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির দুই মেয়রপ্রাথীর্ জাহাঙ্গীর আলম ও হাসান উদ্দিন সরকার। সংবাদ সম্মেলন, জনসংযোগ, ভোটপ্রাথর্না, দোয়া আর কুশল বিনিময় দিনভর প্রচারণা চালান তারা। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রাথীর্ জাহাঙ্গীর আলম গতকাল সকালে প্রচার শুরু করেন গাজীপুরের কাউলতিয়া ইউনিয়নের সালনা থেকে। পরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে পথসভায় বক্তব্য রাখেন। তার গাড়িবহরে থাকা বিশেষ কায়দায় স্থাপিত দুটি নৌকা সাবার নজর কাড়ে। সেখান থেকে বাজানো হয় ভোটের জন্য তৈরি করা নানা ধরনের গান। সালনায় জাহাঙ্গীর আলম হাজির হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে জমায়েত হন কয়েক হাজার নেতাকমীর্। সেখানে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে কুশলবিনিময় করে ভোট চান। এ সময় রাস্তার এক পাশে যানজট লেগে যায়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তার গাড়িবহর রওনা দেয় কোনাবাড়ির উদ্দেশে। সেখানে ভোটারদের সঙ্গে কুশলবিনিময় করেন ও ভোট কামনা করেন। সেখান থেকে হাজির হন জয়দেবপুর চৌরাস্তায়। গাড়ি থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন দিক থেকে মিছিল নিয়ে জড়ো হন দলীয় নেতাকমীর্রা। একপযাের্য় পথসভা পরিণত হয় জনসভায়। সেখানে অনুষ্ঠিত পথসভায় প্রথমে বক্তব্য রাখেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক। তিনি বলেন, গত পঁাচ বছরে খুলনায় বিএনপির মেয়র ছিল। সেখানে কোনো উন্নয়ন কাজ হয়নি। গাজীপুরেও ঠিক তাই হয়েছে। তিনি গাজীপুরবাসীকে অনুরোধ করেন নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে জাহাঙ্গীর আলমকে গাজীপুরের মেয়র নিবাির্চত করার। এ ছাড়া খুলনা এলাকার কোনো বাসিন্দা গাজীপুরে ভোটার থাকলে তাদের নৌকা প্রতীকে ভোট দেয়ার জন্য অনুরোধ জানান। এ সময় জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গাজীপুরে রাস্তাঘাট বলে কিছুই নেই। এখানে ঘরের ভেতরও পানি ঢুকে যায় বৃষ্টি হলে। তিনি মেয়র নিবাির্চত হলে প্রথমে এই জয়দেবপুর চৌরাস্তার উন্নয়ন করবেন। এ ছাড়া টঙ্গী থেকে চন্দ্রা পযর্ন্ত রাস্তাকে ছয় লেনে পরিণত করবেন। তিনি বলেন, গত পঁাচ বছরে বিএনপির মেয়র গাজীপুরের কোনো উন্নয়ন কাজ করেননি। এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে মেয়রপদে মনোনয়ন দিয়েছেন। কেন্দ্র ও স্থানীয পযাের্য় একই দল থাকলে উন্নয়নকাজও ভালো হবে। গাজীপুরবাসী ভোট দিয়ে আমাকে সেই সুযোগ করে দেবেন। আওয়ামী লীগ ৭০ বছরের ঐতিহ্যবাহী দল। সেই দলের প্রাথীর্ হিসেবে তাকে শেখ হাসিনা মনোনয়ন দিয়েছেন। গাজীপুরবাসীও সেই আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকবেন। কিন্তু বিএনপি প্রাথীর্ রক্তের রাজনীতি করেন। তার এক ভাই এখন ফঁাসির আসামি। অতীতে তিনি যখনই নিবাির্চত হয়েছেন হত্যার মধ্য দিয়ে নিবার্চন করেছেন। গাজীপুরবাসী আর রক্ত দেখতে চায় না। এখন শান্তি ও উন্নয়ন দেখতে চায়। এদিকে খুলনা স্টাইলের নিবার্চন ঠেকাতে সব মুক্তিযোদ্ধার সহযোগিতা চেয়েছেন বিএনপি মেযরপ্রাথীর্ হাসান উদ্দিন সরকার। তিনি বলেন, সরকার পুলিশ দিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বানচাল করে দিচ্ছে। আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রাথীের্কও পুলিশের গাড়িতে দেখা যাচ্ছে। খুলনার কারচুপির অভিজ্ঞতাসম্পন্ন পুলিশ সদস্যদের ইতোমধ্যে গাজীপুরের নিবার্চনী দায়িত্ব পালনের জন্য আনা হয়েছে। কিন্তু শত বাধা সত্তে¡ও তারা নিবার্চনে আছেন এবং শেষ পযর্ন্ত থাকবেন। সরকার ও নিবার্চন কমিশনের নোংরা চরিত্র জাতির সামনে তুলে ধরবেন। নিবার্চনী প্রচারণার শেষদিনে সংবাদ সম্মেলন, জনসংযোগ, দলীয় নেতাকমীের্দর সঙ্গে মতবিনিময় করে ব্যস্ত সময় পার করেন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নিবার্চনে বিএনপির মেয়রপ্রাথীর্ হাসান উদ্দিন সরকার। গতকাল ফজর নামাজ আদায় করে সকাল সাড়ে ৭টায় তার টঙ্গীর আউশপাড়া নিজস্ব বাসভবনে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বরত প্রধানদের নিয়ে আলোচনায় বসেন। সেখানে তিনি এজেন্টদের মনোবল শক্ত রাখার নিদের্শ দেন। কারও কোনো সমস্যা হলে সঙ্গে সঙ্গে সেটা জানানোর কথা বলেন। বৈঠকের সময় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এরপর সকাল ১০টার দিকে রওনা দেন গাজীপুর শহরের উদ্দেশে। বেলা ১১টায় দিকে সাংবাদিকদের নিয়ে দলীয় কাযার্লয়ে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নিবার্চনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিতে ভোটারদের আহŸান জানিয়ে হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, ভোটের দিন যত ঝড়-বৃষ্টি ও বাধা থাকুক না কেন, আপনারা কেন্দ্রে ভোট দিতে আসবেন। নিজের জীবন দিয়ে হলেও ভোট কারচুপি ঠেকাব। যদি সুষ্ঠু নিবার্চন হয়, তবে সম্মানজনক ভোটের ব্যবধানে জয়ী হব। হাসান সরকার বলেন, ‘গাজীপুর সিটি করপোরেশন নিবার্চন পরিচালনার যে নিয়ম-কানুন কমিশন থেকে দেয়া হয়েছে, সরকার সেটি সস্পূণর্ভাবে বাস্তবায়ন করুকÑ এটাই আমরা দেখতে চাই। বিএনপির নেতাকমীের্দর গণহারে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এজেন্টদের হুমকি দেয়া হচ্ছে। পুলিশ এজেন্টদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলছে, জাহাঙ্গীরের সঙ্গে দেখা করো, নয় তো এলাকা ছেড়ে পালাও। আমাদের নেতাকমীের্দর জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি সালাহ উদ্দিন সরকার, জেলা হেফাজত ইসলামের যুগ্ম সম্পাদক মুফতি নাছির উদ্দিন, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর আলম শুক্কুর, ওয়াডর্ বিএনপির সভাপতি আবদুর রহিন খান কালা প্রমুখ। এরপরই তিনি ছুটে যান টঙ্গী বাজার এলাকায়। সেখানে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তিনি কুশলবিনিময় করে ভে্টা চান। এ সময় তিনি বলেন, গাজীপুরের মেয়র নিবাির্চত হলে জনগণের করের টাকার প্রত্যেকটি পয়সার সঠিক ব্যবহার করবেন। আপনাদের ভোটে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব পেলে আপনাদের প্রতিটি পয়সা আমানতের সহিত খরচ করব। অতীতেও আপনাদের আমানতের খেয়ানত করিনি, আগামীতেও আপনাদের আমানত যথাযথভাবে রক্ষা করা চলব। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকেই নগরীর বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণায় নেমে পড়েন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রাথীর্রা। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ভোটপ্রাথর্নার পাশাপাশি নাগরিক সমস্যা সমাধানে নিজেদের পরিকল্পনা তুলে ধরছেন। রাস্তা-ঘাট মেরামত, যানজট-জলাবদ্ধতা নিরসন, আবাসিক-শিল্প এলাকার পরিকল্পিত উন্নয়ন, মাদক-সন্ত্রাস নিমূের্ল নিজেদের অবস্থান তুলে ধরছেন। তবে তারা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন শ্রমিক ইস্যু। তবে মোট ভোটারের বড় একটা অংশ শ্রমিক ও ভাসমান হওয়ায় সাবর নজর এখন তাদের দিকে। পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে নগরীর অলি-গলি। তবে মূল রাস্তা বাদে ভেতরের রাস্তাগুলোতে বিএনপি মনোনীত প্রাথীর্ হাসান উদ্দিন সরকারের পোস্টার বা প্রচারণা চোখে পড়েনি। নগরীর তেলিপাড়া থেকে মাড়িয়ালি হয়ে জয়দেপুর যাওয়ার রাস্তার দুই পাশ পোস্টার দিয়ে ছেয়ে গেছে। দুই পাশের গাছে রশি দিয়ে রাস্তার ওপর টাঙানো হয়েছে পোস্টার। এই এলাকায় কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রাথীের্দর পোস্টারের পাশাপাশি ক্ষমতাসীন দলের মেয়রপ্রাথীর্ জাহাঙ্গীর আলমের পোস্টার থাকলেও তাদের প্রধান প্রতিদ্ব›দ্বী হাসান উদ্দিন সরকারের কোনো পোস্টার চোখে পড়েনি। কিছুক্ষণ পরপর নৌকার পক্ষে লিফলেট বিতরণ করা হয়। ধানের শীষের কোনো প্রাচারণা ছিল না। একই চিত্র দেখা গেছে নগরীর হাড়িনাল, ভোগড়া বাইপাস ও কোনাবাড়ি এলাকার বিভিন্ন শাখা সড়কে। এ সময় ২৭ নম্বর ওয়াডর্ বিএনপির কয়েকজন নেতা জানান, পোস্টার ছিল। রাতের অঁাধারে কে বা কারা ছিঁড়ে ফেলে দিয়েছে। কোনো নেতাকমীর্ প্রকাশ্যে প্রচারণা চালাতে পারছেন না। কেউ প্রচারণায় গেলে ওইদিন রাতেই পুলিশ বাসায় চলে আসে। ক্ষমতাসীন দলের নেতাকমীের্দর পক্ষ থেকেও হুমকি দেয়া হচ্ছে। তবে এসব বিষয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক নেতা দাবি করেন, এই এলাকায় বিএনপি দুবর্ল। তাই হাসান সরকারের কোনো প্রচারণা নেই। প্রসঙ্গত, ইসির তফসিল অনুসারে গত ১৫ মে গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশনে ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সাভারের শিমুলিয়া ইউনিয়নের ছয়টি মৌজা সিটি করপোরেশনে অন্তভুির্ক্তর প্রজ্ঞাপন ও নিবার্চনের তফসিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ৬ মে গাজীপুর সিটি নিবার্চনের তফসিলের কাযর্ক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করে হাইকোটর্। এই আদেশের বিরুদ্ধে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রাথীর্ এবং নিবার্চন কমিশন পৃথক তিনটি আবেদন করে। শুনানি আপিল বিভাগ এই নিবার্চন নিয়ে হাইকোটের্র দেয়া আদেশ স্থগিত করে ২৮ জুনের মধ্যে এই নিবার্চন করতে বলে। এরপর ১৩ মে ইসির এক সভায় ২৬ জুন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নিবার্চন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর আগে ২০১৩ সালের ৬ জুলাই গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রথম নিবার্চন অনুষ্ঠিত হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে