শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়া বিপাকে ইংল্যান্ড

নতুনধারা
  ২৬ জুন ২০১৯, ০০:০০
আপডেট  : ২৬ জুন ২০১৯, ০০:৪০
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মঙ্গলবার লর্ডসে ঐতিহ্যের লড়াইয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু পায় অস্ট্রেলিয়া। এদিন এ্যারন ফিঞ্চের সেঞ্চুরিতে ভর করে ২৮৫ রানের সংগ্রহ করে অজিরা। শতরান পূর্ণ করার পর ফিঞ্চের উদযাপন -ওয়েবসাইট

যাযাদি ডেস্ক

এবারের বিশ্বকাপ ক্রিকেটের প্রথম দল হিসেবে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। ফেভারিট ইংল্যান্ডকে ৬৪ রানে হারিয়ে সেমিফাইনালের টিকিট পায় অজিরা। অন্যদিকে শ্রীলংকার পর অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে সেমিফাইনালের পথে বড় ধরনের ধাক্কা খেল ইংলিশরা। এতে করে তাদের সেমিফাইনালে ওঠা অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। ফলে পঞ্চম স্থানে থাকা বাংলাদেশের জন্য সেমির আশা আরও উজ্জ্বল হলো।

লর্ডসে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে অ্যারন ফিঞ্চের সেঞ্চুরিতে ৭ উইকেটে ২৮৫ রানের লড়াকু পুঁজি পায় অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ব্যাট করতে নেমে অজি পেসারদের বোলিং তোপে ২২১ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ডের ইনিংস।

২৮৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে স্বাগতিকরা। প্রথম ওভারেই জেমস ভিন্সের (০) উইকেট তুলে নেন জেসন বেহরেনডর্ফ। এরপর জো রুট (৮) ও অধিনায়ক ইয়ন মরগানকে (৪) প্যাভিলিয়নের পথ ধরিয়ে দেন মিচেল স্টার্ক।

চতুর্থ উইকেট জুটিতে চাপ সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন জনি বেয়ারস্টো ও বেস স্টোকস। তবে দলীয় ৫৩ রানে বেহরেনডর্ফের বলে প্যাট কামিন্সের হাতে ধরা পড়েন বেয়ারস্টো (২৭)।

পঞ্চম উইকেট জুটিতে অবশ্য কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন স্টোকস ও জশ বাটলার। ৭১ রান আসে তাদের ব্যাট থেকে। অর্ধশতক তুলে নেন স্টোকস। দলীয় ১২৪ রানে মার্ক স্টোইনিসের বলে বাটলার ২৫ রান করে খাজার তালুবন্দি হন।

ষষ্ঠ উইকেটেও প্রতিরোধ গড়েন স্টোকস ও ক্রিস ওকস। ৫৩ রানে জুটি গড়ে ইংল্যান্ডের জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখেন তারা। কিন্তু দলীয় ১৭৭ রানে স্টোকসকে ব্যক্তিগত ৮৯ রানে বোল্ড আউট করেন স্টার্ক। জয়ের আশা শেষ হয়ে যায় ইংলিশদের।

এরপর ক্রিস ওকস (২৬), মঈন আলী (৬) ও জোফরা আর্চারের (১) উইকেট তুলে নিয়ে ৫ উইকেটের কোটা পূরণ করেন বেহরেনডর্ফ। আদিল রশিদের উইকেট স্টার্ক তুলে নিলে ২২১ রানে অলআউট হয় ইংলিশরা। ৬৪ রানে দারুণ জয় পায় ফিঞ্চের দল।

অস্ট্রেলিয়ার বেহরেনডর্ফ ৫টি, স্টার্ক ৪টি ও মার্কাস স্টোইনিস ১টি উইকেট নেন।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ডেভিড ওয়ার্নার ও ফিঞ্চের ব্যাটে ওপেনিং জুটিতে আসে ১২৩ রান। টানা পাঁচ ম্যাচে ৫০ রানের জুটি গড়ে বিশ্বকাপে নতুন রেকর্ড করেন তারা। ওয়ার্নার অর্ধশতক তুলে ৫৩ রান করে মঈন আলীর বলে প্যাভিলিয়নে ফেরত যান। এ ম্যাচে সাকিব আল হাসানকে ছাড়িয়ে ফের বিশ্বকাপে সেরা রান সংগ্রাহক হলেন ওয়ার্নার। অন্যদিকে অর্ধশতক তুলে নেন ফিঞ্চ।

দ্বিতীয় উইকেটে জুটিতে ৫০ রান যোগ করেন ফিঞ্চ ও উসমান খাজা। ব্যক্তিগত ২৩ রানে খাজা বোল্ড আউট হন বেন স্টোকসের বলে। এরপরই চলতি বিশ্বকাপের নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন ফিঞ্চ। ঠিক ১০০ রান করে জোফরা আর্চারের বলে ক্রিস ওকসের হাতে ধরা পড়েন ফিঞ্চ। ১১টি চার ও ২টি ছয়ের মারে সাজানো ছিল ফিঞ্চের ইনিংস।

এরপরই পথ হারিয়ে ফেলে অজিরা। ইংলিশ বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে রান তোলার গতি কমে যায় তাদের। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (১২) ও স্টোইনিস (৮) দ্রুতই বিদায় নেন। স্কোর বোর্ডে রান তখন ৫ উইকেটে ২২৮ রান।

স্টিভেন স্মিথও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ৩৮ রান করে ওকসের বলে আর্চারের হাতে ক্যাচে পরিণত হন স্মিথ। শেষ দিকে অ্যালেক্স ক্যারির ২৭ বলে ৩৮ রানের ইনিংসের সুবাদে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৮৫ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া।

ইংলিশ বোলার ওকস ২টি এবং আর্চার, মার্ক উড, বেন স্টোকস ও মঈন আলী ১টি করে উইকেট নেন।

দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ম্যাচসেরা হন অজি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে