মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে এবার ঈদ শেষে ঢাকায় ফিরে আসা নাগরিকদের বেশ কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
ঈদের পরদিন মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এ বছর ৪৪ হাজার ৪৭১ জন হাসপাতালে গেছেন। এর মধ্যে চলতি আগস্ট মাসের প্রথম ১২ দিনেই ২৬ হাজার ১০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণু বাহক মশা এডিস এজিপ্টি প্রধানত শহরে পাওয়া যায়। তবে মানুষের ভ্রমণের কারণে বাংলাদেশজুড়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী পাওয়া যাচ্ছে।
ঈদের ছুটিতে লাখ লাখ মানুষ ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যায় বলে তাদের ভ্রমণসঙ্গী হয়ে এডিস মশা আরও বেশি ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল।
আর ঈদের ছুটিতে মানুষ গ্রামের বাড়ি গেলে ঢাকায় তাদের ফাঁকা বাসায় যাতে মশা নির্বিঘ্নে বংশবিস্তার করতে না পারে, সে জন্য বেশ কিছু পরামর্শ দেয়া হয়েছিল সরকারের তরফ থেকে।
এখন গ্রাম থেকে বাড়ি ফিরে তাদের কী কী সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে, সেই পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
যাদের বাড়িতে মশা মারার স্প্রে আছে-
০ একজন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ ব্যক্তি ঘরের প্রধান দরজা খুলে ঘরে ঢুকবেন এবং দরজা জানালা বন্ধ থাকা অবস্থায় ঘরের আনাচে-কানাচে, পর্দার পেছনে, খাটের নিচে স্প্রে করবেন।
০ কোনোভাবেই শিশু, বয়স্ক ব্যক্তি বা গর্ভবতী নারী প্রথমে ঘরে ঢুকবেন না।
০ মশা মারার ওষুধ স্প্রে করার পর প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি ঘর থেকে বেরিয়ে যাবেন ও আধ ঘণ্টা অপেক্ষা করবেন।
০ আধ ঘণ্টা পর আবার ঘরে ঢুকে সব দরজা-জানালা খুলে দেবেন।
০ কমোড ফ্ল্যাশ করবেন, বেসিনের ট্যাপ ছেড়ে দেবেন।
যাদের বাড়িতে মশা মারার স্প্রে নেই-
০ সবাই একসঙ্গে ঘরে না ঢুকে প্রথমে একজন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ ব্যক্তি ঘরে ঢুকে সব দরজা-জানালা খুলে দেবেন।
০ ফ্যানগুলো ছেড়ে দেবেন।
০ কমোড ফ্ল্যাশ করবেন, বেসিনের ট্যাপ ছেড়ে দেবেন।
০ এই কাজগুলো শেষ করার পর পরিবারের অন্য সদস্যরা ঘরে প্রবেশ করবেন।