আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে কক্সবাজার থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রত্যাবাসন এ মাসেই শুরুর খবর এলেও পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক সুনির্দিষ্ট দিন-তারিখ জানাতে রাজি হননি।
রাজধানীতে রোববার এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, 'বিষয়টি (প্রত্যাবাসন) এখনও আলোচনার টেবিলে রয়েছে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া, যেকোনো সময় শুরু হবে।'
রোহিঙ্গাদের তাদের দেশ মিয়ানমারে ফেরানো কবে শুরু হবে, সাংবাদিকরা আবারও জানতে চাইলে তিনি কোনো সুনির্দিষ্ট সময় বলতে রাজি হননি।
দুই বছর আগে মিয়ানমারের রাখাইনে সেনাবাহিনীর দমন অভিযান শুরুর পর সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। আগে থেকে ছিল আরও চার লাখ রোহিঙ্গা।
এই বিপুল সংখ্যক শরণার্থীকে নিজ দেশে ফেরাতে দুই দেশের মধ্যে
চুক্তিও হয়েছে, যার আলোকে গত বছর নভেম্বরে প্রত্যাবাসন শুরুর প্রস্তুতিও নিয়েছিল বাংলাদেশ।
কিন্তু মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে রোহিঙ্গাদের মনে আস্থা না ফেরায় এবং তারা কেউ ফিরে যেতে রাজি না হওয়ায় সেই পরিকল্পনা ঝুলে যায়।
সম্প্রতি মিয়ানমারের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, আগামী ২২ আগস্ট প্রায় সাড়ে তিন হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নেওয়ার দিন ঠিক হয়েছে।
গত মাসে দুই দেশের প্রতিনিধি দলের বৈঠকে প্রত্যাবাসন চুক্তির অংশ হিসেবে যাচাই বাছাইয়ের জন্য মিয়ানমারের হাতে যে ২৫ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা বাংলাদেশ দিয়েছিল সেখান থেকেই ৩ হাজার ৫৪০ জনকে নেয়ার বিষয়ে ছাড়পত্র মেলার কথা জানিয়েছিলেন মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
\হমুখপাত্র মিন্ট থু।
পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক বলেন, 'আগামী কয়েক সপ্তাহে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরানোর জন্য আমরা তাদেরকে উৎসাহিত করার চেষ্টা করব।
তাদের কল্যাণেই এটা করা হবে। যদি তারা ফিরে না যায়, তাহলে তারা শুধু ভূমির অধিকারই নয়, সব ধরনের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে।