শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

রোহিঙ্গা শিবিরে উদ্বেগ-আতঙ্ক

রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের হাতে যুবলীগ নেতা খুন প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ-বিক্ষোভ-ভাঙচুর ক্যাম্প ছেড়ে পালিয়েছে নিরীহ অনেকে অস্থিতিশীলতার শঙ্কায় সতর্ক পুলিশ
যাযাদি রিপোর্ট
  ২৪ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০
যুবলীগ নেতা ফারুক হত্যার প্রতিবাদে শুক্রবার সকালে টেকনাফে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ ও ভাঙচুর চালায় স্থানীয়রা -বিডি নিউজ

জোরালো উদ্যোগের পরও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া দ্বিতীয়বারের মতো পন্ড হওয়ায় কক্সবাজারের স্থানীয়দের হতাশা যে কোনো মুহূর্তে ভয়াবহ ক্ষোভে রূপ নিতে পারে- এমন আশঙ্কার মাঝেই বৃহস্পতিবার রাতে টেকনাফে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের হাতে স্থানীয় এক যুবলীগের নেতা খুন হওয়ার ঘটনায় রোহিঙ্গা শিবিরে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার পাশাপাশি নানামুখী আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে শুক্রবার ক্ষুব্ধ স্থানীয়দের বিক্ষোভ মিছিল, টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ এবং দোকানপাট ও এনজিও কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় নিরীহ রোহিঙ্গারা এখন ভীত-সন্ত্রস্ত। সকাল থেকে দুপুর অবদি টানা প্রায় পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী এ তান্ডব চলাকালে অনেক রোহিঙ্গা ক্যাম্প ছেড়ে পালিয়ে যান।

এদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপে বিকালের পর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও রোহিঙ্গা শিবিরে সশস্ত্র হামলার উৎকণ্ঠা এখনো রয়েই গেছে। এর উপর রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে শক্ত অবস্থানে যাওয়ার ঘোষণা এবং আগামীতে তারা (রোহিঙ্গা) আর এত আরাম আয়েশে থাকবে না পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্ত্রীর এমন হুশিয়ারিতে তাদের উদ্বেগের পারদ এখন আরও ঊর্ধ্বমুখী।

স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়ার পর থেকে সেখানকার মানুষের সাধারণ জীবনযাত্রা নানাভাবে ব্যাহত হচ্ছে। সেখানে সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে; নষ্ট হয়েছে পরিবেশ। এ সব কারণে সেখানকার মানুষ দীর্ঘদিন ধরেই চাপা ক্ষোভে ফুঁসছে। এর উপর দ্বিতীয় দফায় প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া পন্ড হওয়া এবং রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের হাতে যুবলীগ নেতা খুন হওয়ার পর তাদের সে ক্ষোভের বারুদে আগুনের স্ফুলিঙ্গ এসে পড়েছে। এ পরিস্থিতি যে কোনো মুহূর্তে আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। তাই তারা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। যুবলীগ নেতা খুনের সঙ্গে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার কোনো যোগসূত্র আছে কিনা তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

তবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অভিযোগ, এর আগেও প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা একের পর এক খুনের ঘটনা ঘটিয়ে এ ইসু্যটির ভিন্ন দিকে মোড় ঘোরানোর চেষ্টা করেছে। যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যার ঘটনাও সে পুরান কৌশলেরই অংশ বলে মনে করেন তারা।

আমাদের কক্সবাজার প্রতিনিধি জানান, যুবলীগ নেতা ওমর ফারুককে গুলি করে হত্যার ঘটনায় টেকনাফের জাদিমুরায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ ও ভাঙচুর চালিয়েছে এলাকাবাসী। শুক্রবার সকাল থেকে পাঁচ ঘণ্টার এ তান্ডবের সময় অনেক রোহিঙ্গা ক্যাম্প ছেড়ে পালিয়ে যান। 'রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা' এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে এ সময় স্থানীয়রা অভিযোগ তোলেন।

এদিকে নিহত যুবলীগ নেতা ফারুকের বাবা আবদুল মোনাফ অভিযোগ করছেন, রাজনৈতিক কারণে তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে; আর তাতে ব্যবহার করা হয়েছে 'রোহিঙ্গা অস্ত্রধারীদের'।

বৃহস্পতিবার রাতে টেকনাফের জাদিমুরায় ২৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় গুলি করে হত্যা করা হয় হ্নীলা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগ সভাপতি ওমর ফারুককে। জাদিমুরা এমআর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ফারুক রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের ঠিকাদারিও করতেন।

টেকনাফের পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে জাদিমুরা ক্যাম্পের রোহিঙ্গাদের একটি দল ওমর ফারুককে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে যায়। পরে তাকে অন্য জায়গায় নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে। সেই খবরে শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে জাদিমুরা বাজারে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে এলাকাবাসী। এ সময় তারা আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে। বিক্ষোভের মধ্যেই তারা কয়েক দফা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতরে গিয়ে বিভিন্ন এনজিও-র সাইনবোর্ড, ক্যাম্পের ঘরবাড়ি ও একটি রোহিঙ্গা দোকানে ভাঙচুর চালায়। ২৭ নম্বর ক্যাম্পে সেভ দ্য চিলড্রেনের একটি কার্যালয়ও ভাঙচুরের শিকার হয়।

বেলা ১টার দিকে শিশু-কিশোরসহ উঠতি বয়সিদের একটি দলকে লাঠিসোঁটা নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দিকে যেতে দেখা যায়। ক্যাম্পের ভেতরে ভাঙচুর না করলেও বিভিন্ন এনজিওর সাইনবোর্ড ও স্থাপনায় লাঠি চালিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা। বেলা ১টার দিকে পুলিশের হস্তক্ষেপে টেকনাফ-কক্সবাজার সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আশরাফুল আফসার বললেন, 'মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার ফলে প্রায় ৬ হাজার একর বনভূমি ধ্বংস হয়ে গেছে। বাসা ভাড়া বেড়ে গেছে। মাছ-মাংস চলে যাচ্ছে বিভিন্ন রোহিঙ্গা শিবিরে। স্থানীয় শ্রমিকদের মজুরি কমে যাওয়ায় প্রকৃত আয় কমে গেছে। সামাজিক ক্ষতিসহ অন্যান্য বেশির ভাগ ক্ষতির তো পরিমাপই করা সম্ভব না। তবে এখন পর্যন্ত স্থানীয় ও রোহিঙ্গাদের অবস্থানে ভারসাম্য (ব্যালান্স) রাখা সম্ভব হয়েছে। কোনো ধরনের অস্থিতিশীলতা (আনরেস্ট) তৈরি হলে সামলানো (ম্যানেজ) কঠিন হয়ে যাবে। তাই স্থানীয়দের বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আছে।'

স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও একই ধরনের উৎকণ্ঠা প্রকাশ করে জানান, গত বছর প্রথম দফা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরুর পর সেখানে এ ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। যা সামাল দিতে তাদের যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে। তাই এবার তারা এ ব্যাপারে আগেভাগেই সতর্ক অবস্থান নিয়েছে।

এদিকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয়ের কারণে আর্থিক ও পরিবেশগত ক্ষতির পাশাপাশি তাদের সন্ত্রাসীদের বেপরোয়া অপরাধমূলক কর্মকান্ডে স্থানীয়দের মাঝে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে তা সেখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে স্পষ্ট হওয়া গেছে।

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের বাসিন্দা নূরুল হোছেইন জানান, প্রায় দুই বছর আগে রোহিঙ্গা শিবিরে তার ৬০ শতক জায়গা (লিজ নেয়া) বেহাত হয়ে গেছে। আগে সেই জমিতে সবজি চাষ করতেন। এখন তা বন্ধ। নূরুল বা তার ছেলেদের অন্য কাজ পাওয়াও কঠিন। কারণ রোহিঙ্গাদের ১৫০ থেকে ২০০ টাকা দিয়েই কাজ করানো যায়। তাই তাদেরই সবাই কাজে লাগায়।

একই ইউনিয়নের আরেক বাসিন্দা শফিকুল আলম। আগে ট্রাক চালাতেন। এক দুর্ঘটনায় কোমরে আঘাত পান। ফলে ট্রাক চালানো বন্ধ হয়ে যায়। রোহিঙ্গারা আসার পর থেকে জিনিসপত্রের দাম বাড়াসহ বিভিন্ন সমস্যার প্রভাব দুই সন্তানের জনক শফিকুলের জীবনেও পড়েছে। তার মতে, রোহিঙ্গারা আসার ফলে সব উন্নয়ন হচ্ছে শিবিরগুলোতে। স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য শুধু নাই নাই অবস্থা। ক্ষোভ প্রকাশ করে বললেন, রোহিঙ্গারা আসার ফলে এলাকায় যদি ২০ শতাংশ লাভ হয়ে থাকে তাহলে ক্ষতির পরিমাণ ১০০ ভাগ।

স্থানীয় চা দোকানি ফজলুর রহমান জানান, তার সারাদিনের বেচাকেনা ৫০০ টাকায় নেমে এসেছে। অথচ রোহিঙ্গারা আসার আগে দিনে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা হাতে থাকত। বলতে গেলে এলাকায় এই বাজারই মূল বাজার ছিল। দুপুর বেলায় ভাত রান্না হতো। এখন চা আর পরোটায় এসে ঠেকেছে। দিনভর ৫ কেজি ময়দার পরোটাও বিক্রি হয় না। দোকানে বসা প্রবীণ সদস্যরা জানালেন, বিভিন্ন জনের প্রায় ৭২ একর জায়গা রোহিঙ্গাদের দখলে চলে গেছে।

নূরুল হোছেইন, শফিকুলদের ক্ষোভ বা ক্ষতির বিষয়টি জানে কক্সবাজারের প্রশাসন। এমনকি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থার গবেষণাতেও রোহিঙ্গারা আসার ফলে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ক্ষতির পরিমাণ, ক্ষতি পুষিয়ে নিতে করণীয় চিহ্নিত করা হয়েছে। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটি (আইসিআরসি), কেয়ার বাংলাদেশসহ বিভিন্ন সংস্থা এগিয়েও এসেছে। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রয়োজন বা চাহিদার তুলনায় তাদের কার্যক্রম অপ্রতুল।

চলতি বছরের জুলাই মাসে ইউএনডিপি এবং পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অফ বাংলাদেশের (পিআরআই) 'ইমপ্যাক্টস অফ দ্য রোহিঙ্গা রিফিউজি ইনফ্লাক্স অন হোস্ট কমিউনিটিজ' শীর্ষক যৌথ গবেষণা অনুযায়ী, রোহিঙ্গাদের জন্য টেকনাফ এবং উখিয়ার দারিদ্র্য বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৩ শতাংশ করে। স্থানীয় প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা তাদের সময়ের ৫০ শতাংশই ব্যয় করেন রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। ফলে স্থানীয়দের সেবা দিতে দেরি হয়। স্থানীয়দের স্বাস্থ্যসেবা পেতে ৫০ শতাংশ বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়। এ ছাড়া রোহিঙ্গারা বিনা মূল্যে ওষুধ পেলেও স্থানীয়দের কিনতে হয়। অভিভাবকরা মেয়েদের স্কুলে যেতে নিষেধ করছে। কারণ রোহিঙ্গা আসার পরে অভিভাবকরা মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।

কক্সবাজারের বিভিন্ন রোহিঙ্গা শিবিরে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা প্রায় ১১ লাখ। স্থানীয় বিশেষ করে উখিয়া ও টেকনাফের ৫ থেকে ৬ লাখ জনগোষ্ঠী বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

১৫ জুলাই এনজিও বিষয়ক বু্যরোর এক পরিপত্রে উলেস্নখ করা হয়েছে, রোহিঙ্গারা আসায় তাদের আবাসন নির্মাণ ও জ্বালানির জন্য পাহাড় কেটে ফেলা হয়েছে। স্থানীয়দের ফসলি জমির ক্ষতি হয়েছে। দ্রব্যমূল্য বেড়েছে। এলাকায় বিভিন্ন সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। রোহিঙ্গাদের মধ্যে যারা বিপথগামী তাদের জন্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। ব্যাপক হারে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশে মাদকদ্রব্যের চোরাচালান বেড়েছে। কক্সবাজার জেলার স্থানীয় জনগোষ্ঠী ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি তাদেরও সহায়তা করা প্রয়োজন। পরিপত্রে যেসব এনজিও রোহিঙ্গাদের জন্য প্রকল্প প্রস্তাব দাখিল করবে তাদের মোট অনুদানের ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ অনুদান স্থানীয় অধিবাসীদের জন্য বরাদ্দ রাখার কথা বলা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা অনুযায়ী তা বাস্তবায়নে পৃথকভাবে প্রকল্প প্রস্তাব (এফডি-৭) দাখিল করার কথাও বলা হয়েছে।

স্থানীয়দের ভাষ্য, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাসহ দেশীয় বেসরকারি সংগঠনের কার্যক্রমে রোহিঙ্গারা অগ্রাধিকার পেলেও তারা সবকিছু থেকে বাদ পড়ে যাচ্ছে। স্থানীয়দের কয়েকজন এ পরিস্থিতিতেও ঘুরে দাঁড়াতে চেষ্টা করছেন। রৈখং, চাকমারকুলসহ বিভিন্ন এলাকার এসব বাসিন্দাদের আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে আইসিআরসি ও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।

স্থানীয় বাসিন্দা আর রোহিঙ্গাদের প্রসঙ্গে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় যৌথ মঞ্চ ইন্টার সেক্টরাল কো-অর্ডিনেশন গ্রম্নপ (আইএসসিজি) এর ২০১৯-এর যৌথ সাড়া দান পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, শরণার্থী শিবিরের ভেতরে এবং বাইরে শরণার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে অসহিষ্ণুতা ও সহিংসতার ঘটনা ঘটছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এবং এনজিও বু্যরোর দায়িত্বপ্রাপ্ত মোহাম্মদ আশরাফুল আফসার বললেন, প্রাথমিক পর্যায়ে রোহিঙ্গাদের জন্য স্থানীয়রা নিজের ঘরবাড়ি পর্যন্ত ছেড়ে দিয়েছে। ভেবেছিল খুব দ্রম্নত সমস্যার সমাধান হবে। তবে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া দীর্ঘ হওয়ায় স্থানীয়দের উদ্বেগ বাড়ার পাশাপাশি ক্ষতির পরিমাণ বাড়ার আশঙ্কাও বাড়ছে। স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য উন্নয়ন পরিকল্পনা তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। দক্ষতা উন্নয়নে স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউশন তৈরির প্রক্রিয়াও চলছে। স্থানীয়দের মধ্যে যারা যোগ্য তারা চাকরি বাজারে যাতে বঞ্চিত না হয় সে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<63720 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1