শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রূপপুর বালিশকান্ডে গণপূর্তের ১৬ কর্মকর্তা বরখাস্ত

নতুনধারা
  ১৬ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০
আপডেট  : ১৬ অক্টোবর ২০১৯, ০০:২০

যাযাদি রিপোর্ট

পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদু্যৎকেন্দ্র প্রকল্প এলাকায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের থাকার জন্য বিছানা, বালিশ, আসবাবপত্র অস্বাভাবিক মূল্যে কেনার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় প্রকৌশলী মোহাম্মদ মাসুদুল আলমসহ গণপূর্ত অধিদপ্তরের ১৬ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে যাচাই-বাছাই ও বিল প্রদানের সঙ্গে জড়িত ১৪ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির পক্ষ থেকে প্রতিবেদনের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপসচিব জিলস্নুর রহমানের স্বাক্ষর রয়েছে প্রতিবেদনে।

সাময়িক বরখাস্ত অন্য কর্মকর্তারা হলেন- মো. শফিকুল ইসলাম, মো. আবু সাঈদ, মো. শাহিন উদ্দিন, মো. জাহিদুল কবীরর, মো. রফিকুজ্জামান, সুমন কুমার নন্দী, মো. ফজলে হক, মো. রওশন আলী, মো. আমিনুল ইসলাম, মো. রুবেল হোসাইন, মো. তারেক, আহম্মেদ সাজ্জাদ খান, মো. মোস্তফা কামাল, মো. তাহাজ্জুদ হোসেন ও এ কে এম জিলস্নুর রহমান।

গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোসা. সুরাইয়া বেগম স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অস্বাভাবিক ব্যয় করার বিষয়ে তদন্তে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের ১৬ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

এছাড়া যাচাই-বাছাই ও বিল প্রদানের সঙ্গে জড়িত ১৪ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উলেস্নখ করা হয়েছে। এর মধ্যে অবসর সুবিধা ভোগকারী গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. শফিকুর রহমানও রয়েছেন।

হাইকোর্টের বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে চলতি সপ্তাহে এ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। আগামী ২০ অক্টোবর এই মামলার ওপর শুনানির কথা রয়েছে।

এর আগে গত ২১ জুলাই বালিশকান্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তা দেখতে চান হাইকোর্ট। সরকারকে ২০ অক্টোবরের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।

এর আগে বালিশকান্ডের ঘটনায় গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আরেকটি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়। হাজার পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদনে বিছানা, বালিশ ও আসবাবপত্র কেনায় মালামালের প্রকৃত মূল্য অপেক্ষা ৩৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা বেশি দেখানো হয়েছে বলে উলেস্নখ করা হয়।

গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চারটি ভবনে আসবাবপত্র ও ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম সরবরাহ কাজের চুক্তি মূল্য একশ ১৩ কোটি ৬২ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। অথচ মালামাল সরবরাহ করা হয়েছে ৭৭ কোটি ২২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ চুক্তি মূল্য সরবরাহ করা মালামালের প্রকৃত মূল্যের চেয়ে ৩৬ কোটি ৪০ লাখ ৯ হাজার টাকা বেশি। এই বাড়তি পরিশোধিত অর্থ সরকারি কোষাগারে ফেরত আনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

গত ১৯ মে পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদু্যৎকেন্দ্র প্রকল্প এলাকায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের থাকার জন্য গ্রিনসিটি আবাসন পলস্নীর বিছানা, বালিশ, আসবাবপত্র অস্বাভাবিক মূল্যে কেনা ও তা ভবনে তোলার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন জনস্বার্থে এই রিট আবেদনটি করেন। রিট শুনানির একপর্যায়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেন এবং একই সঙ্গে এই ঘটনায় গঠিত গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<71372 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1