যাযাদি রিপোর্ট
ফেসবুক লাইভে পবিত্র কোরআন অবমাননার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় সেফাতউলস্নাহ ওরফে সেফুদার সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইবু্যনালের বিচারক আস সামস জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
এদিন সেফুদাকে গ্রেফতার সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। সেফুদাকে গ্রেফতার করা যায়নি উলেস্নখ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। এরপর আদালত আসামির সম্পদ ক্রোকের ওই আদেশ দেন। একই সঙ্গে ক্রোক সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৬ ফেব্রম্নয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত।
আদালত সূত্র জানায়, গত ২৩ এপ্রিল ঢাকা বারের আইনজীবী মো. আলীম আল রাজী বাদী হয়ে সাইবার ক্রাইম ট্রাইবু্যনালে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত ওইদিন বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ৯ এপ্রিল মামলার বাদী ফেসবুকে দেখতে পান যে, অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা প্রবাসী সেফাতউলস্নাহ ওরফে সেফুদা তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে পবিত্র কোরআন সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের বাজে মন্তব্য করছেন এবং কোরআনকে অবমাননা করছেন। যা সমগ্র ইসলামী বিশ্বকে মারাত্মকভাবে আঘাত করেছে।
ওই ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ায় প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। এ ছাড়া আসামি একইভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিভিন্ন সময় লাইভে এসে কুরুচিপূর্ণ, অশ্লীল, আক্রমণাত্মক ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে নিয়েও কটূক্তি করেছেন।
আদালত পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমকে (সিটিটিসি) অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্ত শেষে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে উলেস্নখ করে গত ১০ সেপ্টেম্বর সিটিটিসির এসআই পার্থ প্রতিম ব্রহ্মচারী আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। গত ৩০ সেপ্টেম্বর ওই প্রতিবেদন গ্রহণ করে সেফুদার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।