শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ভোটের জন্য এক দিন পেছাল বইমেলা

নতুনধারা
  ২০ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট

১ ফেব্রম্নয়ারি ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে ভোট থাকায় অমর একুশে গ্রন্থমেলা এক দিন পিছিয়ে যাচ্ছে। ২ ফেব্রম্নয়ারি বইমেলা উদ্বোধন হবে বলে আয়োজক সংস্থা বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবিবুলস্নাহ সিরাজী জানিয়েছেন।

ভাষার মাস ফেব্রম্নয়ারির প্রথম দিনে মাসব্যাপী একুশে বইমেলা উদ্বোধন করে থাকেন বাংলাদেশের সরকারপ্রধান।

নির্বাচন কমিশন প্রথমে ৩০ জানুয়ারি ঢাকার দুই সিটিতে ভোটের দিন রেখেছিল। তবে ওই দিন সরস্বতী পূজা থাকায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ বিভিন্ন মহলের ভোটের তারিখ পেছাতে বাধ্য হয়েছে নির্বাচন কমিশন। ১ ফেব্রম্নয়ারি ভোটের দিন রেখেছে তারা, এ জন্য এসএসসি পরীক্ষাও ১ ফেব্রম্নয়ারি থেকে দুই দিন পিছিয়ে ৩ ফেব্রম্নয়ারি শুরু হচ্ছে।

হাবিবুলস্নাহ সিরাজী জানান, ২ ফেব্রম্নয়ারি বিকাল ৩টায় প্রধানমন্ত্রী একুশে গ্রন্থমেলার উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনী মঞ্চে অতিথি থাকবেন পশ্চিমবঙ্গের কবি শঙ্খ ঘোষ এবং মিসরের লেখক, গবেষক ও সাংবাদিক মোহসেন আল-আরিশি।

এ মঞ্চ থেকেই ২০১৮ সালের বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার বিজয়ীদের হাতে পদক তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

ওই দিন বিকাল ৫টার পর সাধারণ দর্শক-পাঠকের জন্য খুলে যাবে বইমেলার দরজা।

২৮ ফেব্রম্নয়ারি পর্যন্ত ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা, ছুটির দিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা এবং ২১ ফেব্রম্নয়ারি সকাল ৮টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত বইমেলা চলবে।

মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব জালাল আহমেদ জানান, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং একাডেমির সামনের ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় তিন লাখ বর্গফুট জায়গায় এবারের মেলা অনুষ্ঠিত হবে। মেলার এলাকা গতবারের চেয়ে প্রায় ২৫ হাজার বর্গফুট বেশি।

হাবীবুলস্নাহ সিরাজী বলেন, 'বাহান্নর চেতনা থেকে একাত্তর, যার ভেতরে জড়িয়ে আছে ৫৪, ৬২, ৬৬ ও ৬৯- বাঙালির স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতা অর্জনের এই পথচলাকে এবার উদ্‌?যাপন করা হবে মেলাজুড়ে। এর জন্য এবারের মেলার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে 'বিজয় : বাহান্ন থেকে একাত্তর (নব পর্যায়)'।'

সেই সঙ্গে ২০২০ সালে জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ এবং ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌?যাপনের যাত্রাও শুরু হবে এ মেলা থেকে।

গতবারের মতো এবারও মেলায় 'লেখক বলছি' মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। সেখানে প্রতিদিন পাঁচজন করে লেখক নিজেদের নতুন বই নিয়ে পাঠকদের সঙ্গে কথা বলবেন।

শিশু-কিশোরদের মধ্যে যারা লেখালেখি করে, সেই খুদে লেখকদের উৎসাহিত করার জন্য এবার বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে। এবার শিশু চত্বরে 'তারুণ্যের বই' নামে একটি বিষয় যুক্ত হয়েছে। সেখানে শিশু-কিশোরদের বইপাঠে উৎসাহিত করা হবে।

মেলার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণের নামকরণ করা হয়েছে ভাষা শহীদ বরকতের নামে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণকে চারটি চত্বরে ভাগ করে উৎসর্গ করা হয়েছে ভাষা শহীদ সালাম, রফিক, জব্বার ও শফিউরের নামে।

পাঁচ ভাষাশহীদের নামে উৎসর্গীকৃত এবারের মেলার দুই প্রাঙ্গণের পাঁচটি চত্বরের প্রতিটি চত্বরের সাজসজ্জায় থাকবে পৃথক রঙের ব্যবহার। লাল, নীল, সবুজ, হলুদ ও ম্যাজেন্টা রঙের প্রাধান্যে সাজবে এ চত্বরগুলো।

একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০৪টি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ১৫০টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৩৯৫টি প্রকাশনা সংস্থাকে ৬২০টি ইউনিট; মোট ৪৯৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৭০টি ইউনিট এবং বাংলা একাডেমিসহ ২৪টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে ২৪টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। লিটল ম্যাগাজিন চত্বরে ১৮০টি লিটলম্যাগকে ১৫৫টি স্টল দেওয়া হয়েছে।

২৫টি স্টলে দুইটি করে লিটল ম্যাগাজিনকে স্থান দেওয়া হয়েছে। অন্য ১৩০টি প্রতিষ্ঠান পৃথক স্টল পেয়েছে। একক ছোট প্রকাশনা সংস্থা এবং ব্যক্তি উদ্যোগে যারা বই প্রকাশ করেছেন, তাদের বই বিক্রি ও প্রদর্শনের ব্যবস্থা থাকবে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের স্টলে।

গ্রন্থমেলায় বাংলা একাডেমি এবং মেলায় অংশগ্রহণকারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ২৫ শতাংশ কমিশনে বই বিক্রি করবে। এবারও শিশু চত্বর মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে থাকবে।

এই কর্নারকে শিশু-কিশোর বিনোদন ও শিক্ষামূলক অঙ্গসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে। মাসব্যাপী গ্রন্থমেলায় এবারও 'শিশুপ্রহর' ঘোষণা করা হবে।

গ্রন্থমেলায় টিএসসি ও দোয়েল চত্বর উভয় দিক দিয়ে দুটি মূল প্রবেশপথ, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে তিনটি পথ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ ও বাইরের মোট ছয়টি পথ থাকবে।

মেলায় নানা বিষয়ে গুণীজনদের নামাঙ্কিত পুরস্কার প্রদান করা হবে সমাপনী দিনে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<85119 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1