বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ঈদে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের গ্যারান্টি নেই

যাযাদি রিপোটর্
  ২০ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

ঈদে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের চেষ্টা থাকবে। তবে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

রোববার সচিবালয়ে নিজ কাযার্লয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা লোডশেডিংমুক্ত বিদ্যুৎ সরবরাহের সবোর্চ্চ চেষ্টা করছি। যমুনার এপারে বিদ্যুৎ সারপ্লাস থাকলেও সেটা উত্তরাঞ্চলে নেয়া যাচ্ছে না। যে কারণে পুরোপুরি লোডশেডিংমুক্ত বিদ্যুৎ সরবরাহের বিষয়ে গ্যারান্টি দেয়া যাচ্ছে না।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কয়লার অভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ঈদের সময় চালু রাখার সিদ্ধান্ত রয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পুরো সময় চালু রাখা গেলে অনেকটা সহনীয় পযাের্য় থাকত বিদ্যুৎ সরবরাহ।

বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আবদুল হাকিম সরকার বলেন, তাদের কাছে পঁাচ-ছয় হাজার মেট্রিক টন কয়লা মজুত রয়েছে। ৮০ মেগাওয়াট লোডে একটি ইউনিট ছয়-সাতদিন চালানো সম্ভব হবে। এতে উত্তরাঞ্চলে কিছুটা দুভোর্গ কমে যাবে।

তিনি বলেন, সোমবার সকালে উৎপাদনে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। আশা করছেন, পিকআওয়ার নাগাদ (সন্ধ্যা) বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা সম্ভব হবে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু করতে হলে কমপক্ষে ২৪ ঘণ্টা সময় প্রয়োজন। আবার বন্ধ করতে হলেও কমপক্ষে ছয় ঘণ্টা প্রয়োজন হয়।

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি মুখে স্থাপিত দেশের একমাত্র কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি কয়লা সংকটের কারণে গত জুলাই মাসের ২৩ তারিখে বন্ধ করে দেয়া হয়। উত্তরাঞ্চলের বাড়ন্ত চাহিদায় লোড ম্যানেজমেন্টের ক্ষেত্রে ভারসাম্য রক্ষা করত এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বসে যাওয়ায় অসহায় হয়ে পড়েছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোডের্ (পিডিবি)। উত্তরের আট জেলায় ব্যাপক লোডশেডিং করতে হচ্ছে।

বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের মোট উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে ৫২৫ মেগাওয়াট। এরমধ্যে একটি ইউনিট নিয়মিত সাভিির্সংয়ে রয়েছে, যার উৎপাদন ক্ষমতা ১২৫ মেগাওয়াট। এই ইউনিটটি সেপ্টেম্বর-অক্টোবর নাগাদ চালুর উপযোগী হবে। ১২৫ ও ২৭৫ মেগাওয়াটের দুটি ইউনিট এখনই উৎপাদনের উপযোগী রয়েছে।

২০১৭ সাল থেকে বড়পুকুরিয়ার ২০১০ নম্বর ফেসে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়। প্রায় বছরখানেক ভ‚গভের্র এই ফেস থেকে প্রায় পঁাচ লাখ ৮৫ হাজার টন কয়লা উত্তোলন করা হয়। গত জুন মাসের মাঝামাঝিতে ২০১০ নম্বর ফেসে কয়লার মজুত শেষ হওয়ায় বতর্মানে কয়লাখনিতে উৎপাদন বন্ধ। নতুনভাবে এক হাজার ৩১৪ নম্বর ফেসে উত্তোলনের জন্য প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

এখন পুরনো ফেসের উৎপাদিত সরঞ্জাম নতুন ফেসে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। নতুন ফেসে উত্তোলন কাযর্ক্রম শুরু করতে আরও প্রায় এক মাস সময় প্রয়োজন হবে বলে জানায় খনি সূত্র। তবে নতুন স্তর থেকে কয়লা উত্তোলনের জন্য খনি অভ্যন্তরে টানেল তৈরি করা হচ্ছে। সেই টানেল তৈরি করতে গিয়ে কিছু কয়লা পাওয়া যাচ্ছে, যা জমিয়ে রাখা হয়েছে বলে জানান আবদুল হাকিম সরকার।

১২৫ মেগাওয়াটের ইউনিটটি চালু রাখতে হলে দৈনিক ১২০০ টন ও ২৭৫ মেগাওয়াটের ইউনিটে ২৮০০ টন কয়লার প্রয়োজন পড়ে। আটদিন পুরোপুরি চালাতে গেলে ৩২ হাজার মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<8669 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1