আজকের যায়যায়দিন

দেশে আরও দুইজনের মধ্যে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫১ জন।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট- আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা মঙ্গলবার এক অনলাইন ব্রিফিংয়ে দেশে নভেল করোনাভাইরাস মহামারির সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরেন।

তিনি জানান, বাংলাদেশে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরও ছয়জন। আক্রান্তদের মধ্যে এ নিয়ে মোট ২৫ জন সংক্রমণমুক্ত হলেন।

নতুন করে কারও মৃতু্যর তথ্য না আসায় বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এ মৃতের মোট সংখ্যা আগের মতই পাঁচজনে রয়েছে।

ইউনিসেফের সতর্কতা / গরমের 'উচ্চ ঝুঁকিতে' শিশুরা

ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১৪০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, এর মধ্যে আইইডিসিআরের বাইরের গবেষণাগারে পরীক্ষা করা নমুনাও রয়েছে। এখন পর্যন্ত মোট এক হাজার ৬০২ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।

সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, নতুন সংক্রমিত দুইজনই পুরুষ। তাদের হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

একজনের বয়স ৫৭ বছর। তিনি সম্প্রতি সৌদি আরব থেকে এসেছেন। তার শারীরিক অবস্থা ভালো, তবে তার ডায়াবেটিস রয়েছে। আরেকজনের বয়স ৫৫ বছর। তার বিদেশ ভ্রমণের ইতিহাস নেই। কোভিড-১৯ এর লক্ষণের পাশাপাশি তার ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে। তিনি কীভাবে সংক্রমিত হয়েছেন, সে বিষয়ে তথ্য নেয়া হচ্ছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ছয়জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন জানিয়ে ডা. ফ্লোরা বলেন, আক্রান্তদের তারা তিনদিন পরপর পরীক্ষা করেন। প্রথমবার কোভিড-১৯ নেগেটিভ এলে ২৪ ঘণ্টা পর আবার পরীক্ষা হয়। পরপর দুটি টেস্ট নেগেটিভ হলে তাকে বাড়ি ফেরার ছাড়পত্র দেয়া হয়।

ছাড়পত্র পাওয়া এই ছয়জনের মধ্যে চারজন পুরুষ ও একজন নারী। তাদের মধ্যে একজন নার্সও রয়েছেন।

ফ্লোরা জানান, ওই ছয়জনের মধ্যে একজনের বয়স ৭০ বছর, চারজনের বয়স ৩০-৪০ বছরের মধ্যে, একজনের বয়স ৪০-এর বেশি।

দেশে বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন ৭৫ জন। আরও ৩৮ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে বলে জানানো হয় ব্রিফিংয়ে।