মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করা যাবে না বলে জানিয়েছে চীন।
গণহত্যার অভিপ্রায় নিয়েই মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলমানদের নিবির্চারে হত্যা, ধষের্ণর মতো ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জাতিসংঘের তদন্তকারীরা এক প্রতিবেদন প্রকাশের পরদিনই মঙ্গলবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এ মন্তব্য করলেন।
আইন প্রয়োগের নামে রোহিঙ্গাদের ওপর ভয়ঙ্কর ওই অপরাধ সংঘটনের জন্য মিয়ানমারের সেনাপ্রধান এবং জ্যেষ্ঠ পঁাচ জেনারেলকে বিচারের মুখোমুখি করার সুপারিশ করা হয়েছে সোমবারের জাতিসংঘ প্রতিবেদনে।
তাছাড়া, রাখাইনের পাশাপাশি শান ও কাচিন অঞ্চলেও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ সংঘটনের অভিযোগ আনা হয়েছে এতে।
কিন্তু রোহিঙ্গাদের ওপর সংঘটিত অপরাধ নিয়ে আন্তজাির্তক মহলে তীব্র সমালোচনা হলেও চীনের অবস্থান মিয়ানমারের পক্ষে। রাখাইনে মিয়ানমারের ভাষায় ‘বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বৈধ অভিযানে’ সমথর্ন দিয়ে আসছে চীন। রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে জাতিসংঘের একটি প্রস্তাবনাও অতীতে আটকে দিয়েছিল দেশটি।
রোহিঙ্গা নিয়ে জাতিসংঘ প্রতিবেদন সম্পকের্ সাংবাদিকরা জানতে চাইলে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিং বলেন, ‘রাখাইনের ঐতিহাসিক, ধমীর্য় ও জাতিগত পটভূমি অনেক বেশি জটিল।’
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি একতরফা সমালোচনা বা চাপ প্রয়োগ করে সংকটের সমাধান বেরিয়ে আসবে না।’
মুখপাত্র আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে। আগামী দুই বছরের মধ্যে স্বেচ্ছায় রোহিঙ্গা পুনবার্সনে উভয় দেশ চুক্তিতে পৌঁছেছে। এ পরিস্থিতিতে আন্তজাির্তক সম্প্রদায়ের উচিত সংলাপ ও শলাপরামশের্র মধ্য দিয়ে যথাযথভাবে রাখাইন সংকট নিরসনে মিয়ানমার এবং বাংলাদেশের উদ্যোগে গঠনমূলক ভূমিকা রাখা।’