প্রজনন মৌসুমে সামুদ্রিক মাছ রক্ষায় গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলছে। গত ২০ মে থেকে শুরু হওয়া নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে ২৪ জুলাই। তবে সরকার ঘোষিত নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের সন্দ্বীপ চ্যানেলে চলছে অবাধে মাছ শিকার। উপজেলা মৎস্য বিভাগের উদাসীনতায় বেপরোয়া জেলেরা একটি সক্রিয়চক্রের সহযোগিতায় নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে অবাধে চালিয়ে যাচ্ছেন মাছ শিকার। মাছ শিকারে নিরাপত্তা দেওয়ার নামে এই চক্রটি ট্রলারের আকারভেদে ২-১০ হাজার টাকা পর্যন্ত জেলেদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, বর্ষার এই সময় উপকূলে সব ধরনের মাছ ও চিংড়ি জাতীয় জলজপ্রাণী ডিম ছাড়ে। সে জন্য সাগরে কোনো ধরনের জাল বা সরঞ্জাম দিয়ে মাছ ধরা নিষিদ্ধ। তবে সরকার ঘোষিত এই ৬৫ দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকায় সীতাকুন্ডের কার্ডধারী চার হাজার ৮০৫ জন জেলে পরিবারকে মোট সাড়ে ৮৬ কেজি চাল দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শামীম আহমেদ বলেন, সর্বশেষ ১৫ জুন সাগরে অভিযান চালিয়েছেন তারা। তাদের নিজস্ব অভিযানের নৌকা না থাকায় জেলেদের নৌকা ভাড়া করতে হয়। কিন্তু উপজেলার সোনাইছড়ি, ভাটিয়ারী ও সলিমপুর- এই তিনটি ইউনিয়নের জেলেরা সিন্ডিকেট করে অভিযানে সহযোগিতা করে
না। তাই অন্য এলাকা থেকে নৌকায় ভাড়া করে অভিযান চালাতে গেলে তারা খবর পেয়ে যায়।