আজকের যায়যায়দিন

খুলনায় বিভিন্ন স্থানে স্থপতিদের কাছে মোবাইল ফোনে একটি নাম্বার থেকে গণহারে চঁাদা দাবির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার বিভিন্ন সময়ে মোবাইল ফোনে এ চঁাদা দাবি করেন দুবৃর্ত্তরা। এতে আতঙ্কিত হয়ে দুজন স্থপতি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

মহানগরীর মুজগুন্নী আবাসিক এলাকার ১৬ নং রোডের বাসিন্দা স্থপতি একেএম ফয়জুল আলম রনি সন্ধ্যা ৬টা ১৯ মিনিটে জানান, বুধবার দুপুর ১২টা ১ মিনিটে তার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে একটি অপরিচিত মোবাইল নম্বর ০১৮২৫৩৯১৪০০ থেকে জনযুদ্ধের নেতা বিপুল পরিচয় দিয়ে আধা ঘণ্টার মধ্যে পঁাচ লাখ টাকা চঁাদা দাবি করেন। চঁাদা না দিলে পরিবারের সদস্য ও সন্তানদের অপহরণ ও হত্যার হুমকি দেয়া হয়। তার মতো মোট ৫ জন স্থপতির কাছে চঁাদা চাওয়া হয়েছে বলে তিনি শুনেছেন বলে জানান।

চঁাদা দাবির ঘটনায় রনি আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য খালিশপুর থানায় একটি অভিযোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন, যার অভিযোগ নং ৯৪৮ তাং ১৯/০৯/১৮ ।

ঘটনার কিছুক্ষণ পর একেএম ফয়জুল আলম তার পরিচিত আরেকজন প্রকৌশলী হাসান শাহরিয়ার খান নিলয়ের কাছে জানতে পারেন, তার কাছেও একই নম্বর থেকে ফোন করে চঁাদা দাবি করা হয়েছে। স্থপতি একেএম ফয়জুল ইসলাম নগররী কেডিএ নিউমাকের্ট এলাকায় লিভিং সিস্টেম কনসাল্টেন্ট নামের একটি আকিের্টক্ট ফামের্র পরিচালক।

তীব্র দাবদাহে বিপাকে বুড়িগঙ্গার মাঝিরা

এই ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যে জানা যায় বয়রায় আকিের্টক্ট ফামর্ বসতভিটার কনর্ধার স্থপতি আল-মাসুম বিলার ফোনে একই নাম্বার দিয়ে ফোন দেয়া হয়। তিনি জরুরি মিটিংয়ে থাকায় তার ব্যক্তিগত নাম্বার রিসিভ করতে পারেননি। একইভাবে নন্দন বিল্ডাসের্র স্থপতি জাহিদুর রহমান জিসানের কাছেও চঁাদা দাবি করে চক্রটি এবং একই সময় জোয়াদ্দার হাফিজ নামে আরও একজন স্থপতির কাছে একই নম্বর থেকে শীষর্ সন্ত্রাসী বাবুর লোক পরিচয়ে চঁাদা দাবি করা হয়, এ ক্ষেত্রেও চঁাদা না দিলে হত্যা ও অপহরণের হুমকি দেয়া হয়।

খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কমর্কতার্ (ওসি) সরদার মোশাররফ হোসেন বলেন, তিনি থানার বাইরে একটি কনফারেন্সে ছিলেন। শুনেছেন একটি জিডি হয়েছে।