চলতি বছরের অক্টোবর মাসেই সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করা হবে। এতে সুন্দরবনকে ঘিরে জীবিকা নিবার্হকারী লাখো বনজীবী এবং দেশ-বিদেশের ভ্রমণপিপাসুরা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলবে। বিশ্বঐতিহ্যে স্থান করে নেয়া প্রিয় সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করতে সরকারের ক্ষমাসুলভ দৃষ্টি, র্যাবের জোরালো উদ্যোগ ও জীবনের ঝুঁুকি নিয়ে মধ্যস্থতাকারী খুলনার সাংবাদিক সোহাগ দেওয়ানের কৃতিত্ব চোখে পড়ার মতো। দু’পক্ষের মধ্যস্থতায় র্যাবের কাছে এ পযর্ন্ত স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছে ৫৭ জন বনদস্যু। প্রক্রিয়ায় রয়েছে সুন্দরবনে থাকা শেষ ২-৩টি বাহিনীর সদস্যরাও। সাংবাদিক সোহাগ দেওয়ানের সাথে যায়যায়দিনের একান্ত সাক্ষাৎকারে জানা গেছে অনেক অজানা কাহিনি। সুন্দরবন দস্যুমুক্ত করার প্রক্রিয়াটি সহজ ছিল না। একদিকে অবিশ্বাস আর অনাস্থার দোলাচল। অন্যদিকে জীবনের ঝুঁকি সবসময় তাড়া করেছে তাকে। অচেনা মানুষ আর অজানা স্থান থেকে ফোন পেয়ে দিনরাত তাকে ছুটতে হয়েছে গহিন থেকে গহিনতর বনে।
নিজের সাথে যুক্ত করেছেন বেসরকারি টিভি চ্যানেল নিউজ টোয়েন্টি ফোর’-এর টিম আন্ডার কাভারকে। প্রায় ৬ মাসের মধ্যে সুন্দরবনের কুখ্যাত দাদাভাই বাহিনী, হান্নান বাহিনী ও আমির আলী বাহিনীসহ ৬টি বাহিনীর মোট ৫৭ জন বনদস্যু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের হাতে অস্ত্র জমা দিয়ে ফিরেছে স্বাভাবিক জীবনে। র্যাব-৬-এর মাধ্যমে বিরাট এ কাজ সম্পন্ন করেছে সাংবাদিক সোহাগ দেওয়ান। সোহাগ বলেন, ‘প্রথমে ভয় লাগছিল। আসলে ওদের সঙ্গে কথা বলার পর বুঝলাম, ভয় আসলে তাদের।’ র্যাব-৬’র অধিনায়ক উইং কমান্ডার হাসান ইমন আল রাজীব বলেন, সরকারের উদ্যোগ বাস্তবায়নে সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করার জন্য সবার্ত্মক চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে সুন্দরবনের অধিকাংশ এলাকা জলদস্যু-বনদস্যুমুক্ত হয়েছে। চলতি বছরের অক্টোবরের মধ্যে সুন্দরবনকে পুরোপুরি দস্যুমুক্ত ঘোষণা করা সম্ভব বলে জানান তিনি।
পাশাপাশি তিনি বনদস্যুদের আত্মসমপের্ণর কাজে সহায়তাকারী সাংবাদিক সোহাগ দেওয়ান ও নিউজ টোয়েন্টি ফোর টেলিভিশনের টিম আন্ডার কাভারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সুন্দরবনকে পুরোপুরি দস্যুমুক্ত করতে তারা সাংবাদিকদের সহযোগিতা পাবেন বলে তিনি আশা করেন।