বরেন্দ্র অঞ্চলে এবারে আমন ধানক্ষেতে ব্যাপকভাবে ইঁদুরের আক্রমণ দেখা দিয়েছে। ক্ষেতের আধাপাকা ধান কেটে সাবাড় করে ফেলছে ইঁদুর। আমন ধান কাটা-মাড়ায়ের আগ মুহ‚তে ইঁদুরের আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষকরা।
চলছে কাতির্ক মাস। সোনালি ধানের ভরে উঠছে পুরো বরেন্দ্র অঞ্চলের মাঠ। মাঠজুড়ে এখন সোনালি স্বপ্নের ছড়াছড়ি। এ সময় ইঁদুরের আক্রমণে ব্যাপক ক্ষতির মধ্যে পড়েছে কৃষকরা।
বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকরা জানান, মৌসুমের শুরুতেই ক্ষেতে পোকার আক্রমণ ও মাঝিামাঝি সময়ে বৃষ্টির অভাবে আমনের কিছুটা ক্ষতি হলেও শেষ সময়ে এসে বৃষ্টি হওয়ায় ও কৃষকদের চেষ্টায় কিছুটা ক্ষতি কাটিয়ে উঠেছেন বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকরা। আর কয়দিন পরেই পুরোদমে ধান কাটা-মাড়াই শুরু হবে। এমন সময় ইঁদুরে ক্ষেতের ধান কেটে সাবাড় করে ফেলছে।
ইঁদুরের কবল থেকে রক্ষা পেতে সব ধরনের চেষ্টা করেও ব্যথর্ হচ্ছেন কৃষক। কৃষকরা ক্ষেতে বিষ মাখা বিভিন্ন পদ্ধতিতে টোপ, আতব চালের টোপ কিংবা ফঁাদ পেতেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না।
রাজশাহী অঞ্চলের জেলা উপজেলা ও মাঠ পযাের্য়র কৃষি কমর্কতার্রা জানান, আমনের শেষ সময়ে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় এবার ইঁদুরের উপদ্রব বেড়েছে। তবে শুধু বিষ টোপ নয়, কলাগাছ, লাঠি কিংবা বঁাশের কঞ্চিতে পলিথিন বেঁধে দিলে ও রাতে ফসলের ক্ষেতে টায়ার পোড়ানোর পদ্ধতি ব্যবহার করলে ইঁদুর কিছুটা ভয়ে ক্ষেত ছেড়ে চলে যাবে। কৃষকদের দেয়া হচ্ছে পরামশর্।
রাজশাহীর তানোর উপজেলার পঁাচন্দর গ্রামের কৃষক রেজা জানান, চলতি মৌসুমে ৮ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছেন তিনি। অনুক‚ল আবহাওয়া থাকায় তার ক্ষেতে ধান অন্য সব বছরের চেয়ে ভালোই ছিল। কিন্ত তার ৮ বিঘা ধানের মধ্যে প্রায় ১০ থেকে ১৫ শতকের মতো আধা পাকা ধান কেটে সাবাড় করে ফেলেছে ইঁদুর।
তানোর উপজেলার মুÐুমালা পৌর এলাকা দায়িত্বে থাকা উপসহকারী কৃষি কমর্কতার্ সমসের আলী জানান, এই ইঁদুর গাছে এমনকি অনেক সময় পানির উপর খড়কুটো দিয়ে বাসা বেঁধে বসবাস করে। এই ইঁদুর দঁাতের বৃদ্ধি রোধ করার জন্য সামনে যা পায় কেটে তছনছ করে দেয়। আমন ক্ষেতে বাতাসে দোলে এমন পাতা যুক্ত ছোট কলাগাছ রোপণ করে খুঁটির সঙ্গে পাতলা পলিথিন বেঁধে দিয়ে ইঁদুর তাড়ানোর পরামশর্ দেয়া হচ্ছে।