দেশের সবর্বৃহৎ বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে নামি-দামি ব্রান্ডের পোশাক রপ্তানি বেড়েছে দ্বিগুণ। রাজস্ব আদায়ে স্বচ্ছতা, সড়ক খুলে দেয়া ও দ্রæত পণ্য শুল্কায়নে নতুন নতুন পদ্ধতি চালু করায় রপ্তানি বেড়েছে। বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত বাইপাস সড়কটি দীঘর্ ৪৫ বছর পর চালু করেন বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার বেলাল হুসাইন চৌধুরী।
বাংলাদেশি পোশাক ভারতে চাহিদা থাকলেও বন্দরে বিভিন্ন অব্যবস্থাপনা ও ভয়াবহ যানজটের কারণে ভারতে পণ্য রপ্তানি ব্যাহত হয়ে আসছিল দীঘির্দন ধরে।
কাস্টমস হাউস সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ অক্টোবর পযর্ন্ত এই বন্দর দিয়ে দুই হাজার ৪৪৯ কোটি ২২ লাখ টাকা মূল্যের দুই লাখ ৩০ হাজার ২১২ মে. টন পণ্য রপ্তানি হয়েছে ভারতে। চলতি বছর একই সময় চার হাজার ৪০ কোটি ৩৫ লাখ টাকা মূূল্যের তিন লাখ ২২ হাজার মে. টন পণ্য রপ্তানি হয়েছে। যেটা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ।
বাংলাদেশে তৈরি শাটর্-প্যান্ট, জারা, সিএনএউমা, এফএইচএনএম’র ট্রাইজার, টি-শাটর্, জিন্স প্যান্টসহ নামি-দামি ব্যান্ডের পোশাক রপ্তানি হচ্ছে ভারতে। এ জাতীয় পণ্য আগে বাই এয়ারে রপ্তানি করা হতো, কিন্তুবতর্মানে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়েই রপ্তানি করা হচ্ছে।
পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের সিএন্ডএফ এজন্টসের স্বত্বাধিকারী রোকনুজ্জামান জানান, উন্নত মানের শাটর্ ও প্যান্টের কাপড় চীন থেকে আমদানি করে তা দেশে তৈরির পর ভারতে রপ্তানি করা হচ্ছে। বেনাপোল বন্দরকে যানজট ও ঝামেলামুক্ত করায় পূবের্র তুলনায় এই বন্দর দিয়ে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে। এ ছাড়া কম সময়, দ্রæত এই পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে এই বন্দরকেই সবচেয়ে বেশি পছন্দ করনে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার বেলাল হুসাইন চৌধুরী জানান, বেনাপোল কাস্টমস ও বন্দরে আগের সনাতন পদ্ধতি উঠিয়ে দিয়ে ডিজিটাল পদ্ধতিতে আমদানি-রপ্তানি কাযর্ক্রম চালু করায় যেমন বেড়েছে রপ্তানি, তেমনি বেড়েছে আমদানি। আগে রপ্তানি পণ্যের বিল অব এন্ট্রি ফাইল হয়ে স্বাক্ষরের জন্য কমিশনার পযর্ন্ত যেতে হতো। ফলে তিনদিন পযর্ন্ত সময় লাগত। সেখানে অনলাইনে আরও লেবেল থেকে পণ্য শুল্কায়ন ও খালাস কাজ দ্রæত সম্পন্ন হচ্ছে। ফলে এই বন্দরে অমদানি- রপ্তানি বাণিজ্যে ফিরে এসেছে প্রাণ চাঞ্চল্য।