জাতীয় সংসদ নিবার্চনের পর এবার সংরক্ষিত আসনের প্রাথীর্ নিয়ে শুরু হয়েছে তোড়জোড়। জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনে (খুলনা-বাগেরহাট) কে হচ্ছেন প্রাথীর্ তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা। সংরক্ষিত আসনে প্রাথীর্র তালিকায় অন্তত ৫ জন নেত্রীর নাম শোনা যাচ্ছে। ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় এবং স্থানীয় নেতাদের সাথে জোর লবিং শুরু করেছেন তারা। তবে দলের স্থানীয় নেতারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী যাকেই পছন্দ করবেন তিনিই হবেন সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য।
বতর্মানে খুলনার যে সকল প্রাথীর্র নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আফসানা ফেরদৌস কেকা, যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আফসানা হাসান ডেইজী, নগর আ’লীগের সদস্য সুলতানা রহমান শিল্পী, মহানগর মহিলা লীগের সভানেত্রী অধ্যাপিকা হোসনেয়ারা রুনু, মহানগর আ’লীগের মহিলা সম্পাদিকা অলোকা নন্দা দাস।
নিবার্চন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, সংসদ নিবার্চনের ভোটের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের পরবতীর্ ৯০ দিনের মধ্যে সংরক্ষিত নারী আসনের নিবার্চনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এক্ষেত্রে আগামী ১ এপ্রিলের মধ্যে এ নিবার্চন সম্পন্ন করতে হবে। সম্প্রতি মন্ত্রিসভা গঠনের পর থেকে সংরক্ষিত আসনের প্রাথীর্ নিয়ে দলের অভ্যন্তরে শুরু হয়েছে তোড়জোড়। সারা দেশের ন্যায় পিছিয়ে নেই খুলনার নারী নেত্রীরা। যারা দলের দুঃসময়েও সামনে ছিলেন, এমন ব্যক্তিদের প্রাধান্য দেয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় নেতারা।
যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আফসানা ফেরদৌস কেকা বলেন, ‘ছাত্রজীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। ১৯৯১ সালের বৈরী পরিবেশেও বয়রা সরকারি মহিলা কলেজে ছাত্র সংসদ নিবার্চনে জিএস নিবাির্চত হই। পরবতীের্ত প্রধানমন্ত্রীর আহŸানে যুব মহিলা লীগ গঠনে যশোর, কুষ্টিয়া, নড়াইল ও বাগেরহাটসহ বিভিন্ন জেলায় সফর করে যুব সংগঠন দঁাড় করাতে ভূমিকা রাখি। আশা করি, দল আমাকে মূল্যায়ন করবে।’
মনোনয়নের বিষয়ে মহানগর আ’লীগের মহিলা সম্পাদিকা অলোকা নন্দা দাস বলেন, ‘১৯৬৯ সাল থেকে রাজনীতি করে আসছি। যুব মহিলা লীগ, এরপর আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে কাজ করছি। এমপি নিবার্চনের বিষয়ে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।’
সংরক্ষিত আসনের প্রাথীর্ নিবার্চনের বিষয়ে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, যারা দীঘির্দন মাঠে রাজনীতি করছেন তারা অনেকেই মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন। আমরাও সেভাবেই সুপারিশ করব। তবে দলীয় সভানেত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী যাকে যোগ্য মনে করেন তিনিই হবেন সংরক্ষিত আসনের এমপি।