শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভবদহে জলাবদ্ধতায় বোরো চাষ নিয়ে শঙ্কা

মনিরামপুর (যশোর) সংবাদদাতা
  ২০ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

পলিতে ভরাটের কারণে বিলের পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় ভবদহ অঞ্চলের বিলগুলোতে এবারের বোরো চাষ না হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এ অঞ্চলের অধিকাংশ পরিবার বোরো চাষের উপর নিভর্রশীল। ফলে বোরো চাষ হবে না এমন সম্ভাবনা দেখা দেওয়ায় হতাশ কৃষক।

মনিরামপুর, অভয়নগর, কেশবপুর, ফুলতলা এবং ডুমুরিয়া উপজেলার চৌমোহনীতে এ ভবদহ বিলটি। যা কয়েক যুগ ধরে এ অঞ্চলের মানুষের মরণফঁাদে পরিণত হয়েছে। এ থেকে উত্তরণের জন্য টিআরএম প্রকল্প চালু করা হয়। জনগণ কিছুদিন এর সুফল পেলেও বতর্মান পরিস্থিতিতে ভবদহের টেকা, মুক্তেশ্বরী, হরিহর নদীর তলদেশ ভরাট হওয়ায় চলতি বছরের বোরো চাষ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। কারণ হিসেবে এলাকার কৃষকদের দাবি পলিতে নদীর তলদেশ উঁচু হওয়ায় বিলের পানি নিষ্কাশনে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে বিলগুলোতে স্থায়ীভাবে জলবদ্ধতায় রূপ নিয়েছে।

এ অবস্থা থেকে উত্তোরণের জন্য বিভিন্ন সেচ যন্ত্রের মাধ্যমে বিলের পানি সরানোর আপ্রাণ চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তারপরও হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। নদীতে জোয়ার আসা ঘোলা পানি সরাসরি প্রবাহের কোনো পথ না থাকায় জোয়ারের পর ধমকে যাওয়া পানি থেকে পলি জমে নদীর তলদেশ ক্রমেই উঁচু হতে চলেছে। বতর্মান পরিস্থিততে বিলের তলদেশ থেকে নদীর তলদেশ উঁচু হওয়ায় পানি নিষ্কাশনের সবগুলো পথ বন্ধ হয়ে গেছে। পানি সেচ ছাড়া ভবদহ অঞ্চলের বিল বোকড়, বিল কেদারিয়া, বিল আড়পাতা, বিল কপালিয়া, বিল চোমরডাঙ্গা, বিল পায়রা কোথাও চলতি ইরি বোরো মৌসুমে বোরো চাষ করার সম্ভাবনা দেখছেন না এলাকার কৃষকরা।

ফলে জলাবদ্ধতার কারণে ভবদহ অঞ্চলের ৬ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে এবছর বোরো চাষ করা সম্ভব নয় এমনটি দাবি করেছেন সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী। অপর দিকে লবণাক্ততার কারণে বিচতলা তৈরিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কৃষকরা। অভিজ্ঞ মহলের দাবি ভবদহ অঞ্চলের কৃষকের এ কষ্ট দেখার যেন নেই কেউ। পানি প্রবাহের পথকে সুগম করে নদীর নাব্যতা সৃষ্টির জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী।

ভবদহ ¯øুইচগেট নিমাের্ণর আগে এ অঞ্চলে টেকা, মুক্তেশ্বরী, হরি নদীর দু ক‚লে বঁাধ না থাকায় বষার্ মৌসুমে ২৭ বিলের পানির চাপে ওই এলাকাবাসীর বাড়ি-ঘর, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, হাটবাজার, ধমীর্য় প্রতিষ্ঠান, বন্যার পানিতে প্লাবিত থাকত। বিলের জমির ফসল ঘরে আসত না তাদের, নোনা পানিতে সারা বছর জলাবদ্ধ থাকত আবাদি জমিগুলো। এ দুদর্শনা থেকে উত্তোরণের জন্য তৎকালীন সময়ের মন্ত্রী শ্রী শরৎচন্দ্র মজুমদার পূবর্ পাকিস্তানের মন্ত্রী (১৯৫৪-১৯৫৮) সরকার পরিষদে জোর দাবি রাখেন। মন্ত্রীর এ দাবির প্রেক্ষিতে তৎকালীন পানি উন্নয়ন বোডর্ (ওয়াপদা)কে বিষয়টি উপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নিদের্শ হয়।

বিভিন্নভাবে বিষয়টি পযাের্লাচনার পর মনিরামপুর, অভয়নগর, ডুমুরিয়া, কেশবপুর, ফুলতলা, ভবদহ নামক চৌমোহনী স্থানে ¯øইচগেট নিমাের্ণর সিদ্ধান্ত হয়। ১৯৬৩-১৯৬৬ সালে ভবদহ ¯øুইচগেট নিমার্ণ কাজ সম্পন্ন করা হয়। এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত প্রবীণরা দাবি করেন ¯øুইচগেট নিমাের্ণর একযুগ এলাকাবাসীর সুফল পেলেও বতর্মানে তা জাতীয় সমস্যায় রূপ নিয়েছে। ১৯৮৮ সালে এ অঞ্চলে ভবদহের ¯øুইচ গেটের কারণে এলাকায় স্থায়ী জলাবদ্ধতায় রূপ নেয়।

পানি সরানোর দাবিতে আন্দোলন শুরু করে এলাকার ভুক্তভোগী জনসাধারণ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<32930 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1