বাগেরহাটের সাইনবোডর্-বগী আঞ্চলিক মহাসড়কের শরণখোলা অংশের জনগুরুত্বপূণর্ চারটি পয়েন্ট মারাত্মক ঝুঁকিপূণর্ হয়ে পড়েছে। উপজেলা সদরের রায়েন্দা পঁাচরাস্তা বদল চত্বর এলাকায় হঁাটু পানি এবং রায়েন্দা সেতুর দুই মাথার তিনটি পয়েন্ট দেবে গেছে। সড়কের এ অংশটি এখন মানুষ এবং যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
শনিবার সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা সদরের সবচেয়ে গুরুত্বপূণর্ পঁাচরাস্তা বাদল চত্বর এলাকার প্রায় ৫০ মিটার সড়কের কাপেির্টং উঠে সেখানে পানি জমে বিশাল পুকুরে পরিণত হয়েছে। মানুষজনের হেটে চলার কোনো উপায় নেই। এমনকি যানবাহনও স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারছে না। সামান্য বৃষ্টি হলে হঁাটু পানি জমে সেখানে। আশপাশ এলাকার ময়লা পানি এসে জমে থাকায় পরিবেশও দূষিত হয়ে উঠছে।
অপরদিকে, রায়েন্দা সেতুর দুই মাথায় তিনটি পয়েন্টের নিচ থেকে বালু সরে গিয়ে বিশাল গতর্ হয়েছে। মাঝে মধ্যে গতর্গুলো মাটি ও বালুর বস্তা দিয়ে ভরাট করা হলেও কিছুদিন পর আবার দেবে যায়। বতর্মানে সেখান থেকে যাত্রীবাহী ও অন্যান্য যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।
বাদল চত্বর এলাকার মুদি দোকানদার মো. আনসার আলী ও ফল ব্যবসায়ী দুলাল হোসেন জানান, প্রায় একবছর ধরে এখানকার ব্যবসায়ীদের দুভোর্গ পোহাতে হচ্ছে। দোকানের সামনে পানি জমে থাকায় কাস্টমার আসতে চায় না। তা ছাড়া, ময়লা পানিতে মানুষের জামাকাপড়ও নষ্ট হয়ে যায়। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে রায়েন্দা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিলন বলেন, বাদল চত্বর এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি পানি নিষ্কাশনের পথ অবরুদ্ধ করে সেখানে বাড়িঘর, দোকানপাট নিমার্ণ করায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগকে সড়ক মেরামতের জন্য তাগিদ দেয়া হয়েছে।
শরণখোলা উপজেলা নিবার্হী কমর্কতার্ (ইউএনও) লিংকন বিশ্বাস বলেন, জনদুভোর্গ নিরসনে আপাতত বাজার উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা থেকে পানি নিষ্কাশনের একটি ড্রেন নিমাের্ণর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া রাস্তা মেরামতের জন্য সড়ক বিভাগকে বলা হবে।