বরগুনার আমতলী উপজেলায় তিন কিলোমিটার পল্লী বিদ্যুতের লাইন নিমাের্ণ ব্যাপক অনিয়ম ও অথর্ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে সুপারভাইজার ও ফোরম্যানের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের পূবর্ কুকুয়া-রায়বালা গ্রামের ছজু গাজীর বাড়ি হতে বারেক সদার্র বাড়ি পযর্ন্ত প্রায় ৯৫টি পরিবারের তিন কিলোমিটার পল্লী বিদ্যুৎ লাইন নিমাের্ণ এ অনিয়মের ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী গ্রামবাসী জানায়, ২০১৭ সালে ওই এলাকায় বিদ্যুতের খাম্বা স্থাপন করলেও ৯ মাসেও বিদ্যুৎ দেয়ার খবর নেই।
অভিযোগ উঠেছে, লাইন নিমাের্ণর দায়িত্বে থাকা সুপারভাইজার পরিচয়দানকারী মো. আ. জলিল ৩ কিলোমিটার লাইনে ৬৪টি খঁুটির ভাড়া বাবদ খঁুটি প্রতি ১ হাজার টাকা দাবি করেন। স্থানীয়রা চঁাদা তুলে তাকে ৪৫ হাজার টাকা প্রদান করেন। এরপর তিনি খঁুটি এনে স্থাপন করেন। বাকি ১৯ হাজার টাকা না দেয়ায় খঁুটি স্থাপনের ৯ মাস অতিবাহিত হলেও লাইনে তার সংযোগ দেয়া হয়নি।
স্থানীয়রা আরও জানান, ঘটনা এখানেই শেষ নয়, মানুষের রান্নাঘরের সামনে, ঘরের দরজার সামনে এবং উঠানের মধ্যেও বিদ্যুতের খঁুটি স্থাপন করা হয়। ভুক্তভোগীরা আপত্তি জানালে ফোরম্যান ফারুককে এ কারণে মোটা অঙ্কের টাকাও দিতে হয়েছে। বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগীর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ফারুক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুপারভাইজার আব্দুল জলিল ১০ হাজার টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করলেও ফোরম্যান ফারুক গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করেন।
এদিকে পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের জেনারেল ম্যানেজার মনোহর কুমার বিশ্বাস বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূবর্ক ব্যবস্থা নেয়া হবে।