রাঙ্গাবালির উপকূলীয় এলাকায় সাগর ও নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রেণুপোনা নিধনের চলচ্ছে মহোৎসব। প্রকাশ্যে অন্তত অর্ধশতাধিক স্পটে সূক্ষ্ণ ফাঁসের মশারি নেটের জাল বেহন্দি ও বক্র আকৃতির জাল পেতে পোনা মাছ নিধনের এ ভয়াবহ মহোৎসব চলছে।
রাঙ্গাবালি উপকূল নদী ও সাগরবক্ষে কোটি কোটি পোনা নিধন হলেও অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে এসব দেখার কেউ নেই। এসব পোনা আবার প্রকাশ্যে বিভিন্ন হাট-বাজারের আড়ৎদে পাইকারি ক্রয়-বিক্রয় চলচ্ছে। পোনা ধারা নিষেধ- এমন প্রচার চালিয়ে আবার আড়ৎ মালিকরা আহরণকারী দরিদ্র মানুষের কাছ থেকে লোনা পানির পোনা কিনছে পানির দরে। সর্বোচ্চ ৩০ টাকায় একশ রেণুপোনা বিক্রিতে বাধ্য হচ্ছে গরিব জনগোষ্ঠী। কোস্টগার্ড মৎস্য প্রশাসন অভিযান চালালে তখন পোনা ধরার প্রবণতা কিছুটা কমে। কিন্তু সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চরমোন্তাজ বুড়াগৌরাঙ্গ নদীর চরমোন্ডল থেকে চরআন্ডা হয়ে সোনার চর পর্যন্ত, চরমোন্তাজ বউ বাজার থেকে বাইলাবুনিয়া, দারভাঙ্গা, তেতুলীয়া নদীতে পাঁচ শতাধিক জাল পাতা রয়েছে। এ সব জালে এক এক বারে দুই তিন শ'বাগদা রেণু ধরা পড়ছে। বাগদা রেণু পোনা বাছাই করে বালুতেই অন্য প্রজাতির পোনা ফেলে দেয়। পানির পাত্রে সংরক্ষণ করায় মারা পড়ছে না বাগদা পোনা। কিন্তু অন্য সব পোনা মারা যাচ্ছে মুহূর্তের মধ্যেই। পোনা শিকারি মো. মনিরুল মিয়া জানান, কুড়িটি জালে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অন্তত ৭০০ বাগদার রেণুপোনা পেয়েছেন। এজন্য অন্য প্রজাতির সাদা মাছের রেণু পোনা মারা গেছে অনেক। একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রাপ্ত পরিসংখ্যানে জানা যায়, একেকটি বাগদার রেণু শিকার করতে গড়ে অন্য প্রজাতির পোনা মারা পড়ছে ৭০টি। এভাবে গোটা উপকূলে প্রতিদিন বিভিন্ন প্রজাতির কোটি কোটি পোনা মাছ মেরে ফেলা হচ্ছে।