কুমিল্লা শিক্ষাবোডের্ চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৬৫.৪২ শতাংশ। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৪৪ জন পরীক্ষাথীর্র্। গত বছরের তুলনায় এ বছর পাসের হার ও জিপিএ-৫ বেড়েছে। গত বছর এ বোডের্ পাসের হার ছিল ৪৯.৫২ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৬৭৮ জন। বোডর্ সূত্রে জানা যায়, এ বছর কুমিল্লা শিক্ষা বোডের্র আওতাধীন কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নোয়াখালী, ফেনী ও ল²ীপুর জেলার ৩৮১ কলেজ থেকে ১ লাখ ৩ হাজার ৬৬৬ জন পরীক্ষাথীর্ অংশ নিয়ে পাশ করেছে ৬৭ হাজার ৮২০ জন। ফেল করেছে ৩৫ হাজার ৮৪৬ জন। এ বছর বিজ্ঞান বিভাগের পাশের হার ৮৩.০৫%, মানবিক বিভাগে ৫৬.৬১% ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের পাশের হার ৬৫.১৩%।
এ দিকে ৬টি জেলার ৩৮১টি কলেজের মধ্যে শতভাগ পাশ করেছে ১৪টি কলেজ। ২টি কলেজ থেকে একজন শিক্ষাথীর্ও পাশ করেনি। কলেজগুলো হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর আব্দুল জব্বার স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও ল²ীপুর জেলার কমলনগর কলেজ। বোডর্ সূত্র জানায়, এ বছর ফেল করা পরীক্ষাথীের্দর মধ্যে অধিকাংশই ইংরেজীতে ফেল করেছে। এ বিষয়ে শতকরা ৭৩.৩৫ ভাগ পরীক্ষাথীর্ পাশ করেছে। ফলাফল ঘোষণার পর কুমিল্লা শিক্ষা বোডের্র পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মো. আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, বোডর্ কতৃর্পক্ষের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মনিটরিংসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষাথীের্দর প্রচেষ্টায় গত বছরের তুলনায় এ বছর ফলাফল ভাল হয়েছে। তবে খারাপ ফলাফল করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিষয়ে খেঁাজ-খবর নিয়ে ভাল ফলাফল করতে আরও বহুমুখী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এদিকে চৌদ্দগ্রাম সংবাদদাতা জানান, সদ্য ঘোষিত কুমিল্লা বোডের্র ফলাফলে চৌদ্দগ্রামের ১১টি কলেজ এবং দুটি কারিগরি কলেজের ফলাফলে গড় পাসের হার ৭৯.১৫%। এবার শতভাগ পাসের কৃতিত্ব অজর্ন করেছে চৌদ্দগ্রামের শ্রীপুর ইউনিয়নের বগৈড় গালর্স হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ। এই প্রতিষ্ঠান থেকে ৩০ জন শিক্ষাথীর্ অংশ নিয়ে সবাই পাস করে। জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে সাতটি জিপিএ নিয়ে শীষের্ রয়েছে মিয়াবাজার কলেজ। প্রতিষ্ঠানটি থেকে ৩৬৭ জন শিক্ষাথীর্ এইচএসসি পরিক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে পাস করেছে ৩৫৮ জন, অকৃতকাযর্ ৯ জন, পাসের হার ৯৭.৫৫%। ঘোষিত ফলাফলে ৩৮.৯৭% পাসের হার নিয়ে গতবারের ন্যায় এবারও উপজেলায় সবির্নম্ন ফলাফল অজর্ন করেছে চিওড়া সরকারি কলেজ। খারাপ ফলাফলে ৪৯.৪২% পাসের হার নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চৌদ্দগ্রাম সরকারি কলেজ।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আজহারুল ইসলাম ভঁূইয়া জানান, গতবারের তুলনায় এবারের ফলাফল কিছুটা ভালো হয়েছে।