আজকের যায়যায়দিন

বৈশাখের খরা তাপ আর প্রয়োজনীয় বৃষ্টি না হওয়ায় রংপুরের কাউনিয়ায় মরে গেছে তিস্তার শাখা মানস নদী। একসময়ের খরস্রোতা তিস্তার এই শাখা মানস নদী, বর্তমানে পানিশূন্য হয়ে পড়ায় নদীর বুকে ধান, পাট, ভুট্টাসহ বিভিন্ন ফসল আবাদ হচ্ছে।

জলবায়ুর পরিবর্তন ও তিস্তার পানি চুক্তি কার্যক্রম ফাইল বন্দি হয়ে পড়ায় আর কয়েক বছর পরে মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে মানাস নদী। স্থানীয় লোকজন স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে হয়তো বলবে দেশ স্বাধীনের পর হারাগাছের কোল ঘেষে খরস্রোতা তিস্তা নদী ছিল। এখন আর নদীটি নেই বলে চলে।

হারাগাছ গোল্ডেন ঘাট এলাকার বাসিন্দা তাজুল ইসলাম (৬৭) জানান, প্রায় ত্রিশ বছর আগে ঘর থেকে বের হয়েই শোনা যেতো নদীর কলকল ধ্বনি। নদীতে পালতোলা নৌকা প্রকৃতিতে যোগ করতো অপরূপ সৌন্দর্য। মাঝি-মালস্নার ভাটিয়ালী গানে মুখরিত থাকতো সারাক্ষণ। দিনভর জনসাধারণের পদভারে জমে উঠতো নদীর ঘাট গুলো। এ সবই এখন শুধু স্মৃতি।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা গেছে, নীলফামারীর কুজিপাড়া গ্রামে বড় তিস্তার শাখা নদী হিসেবে মানাস নদীর উৎপত্তি। রংপুরের গঙ্গাচাড়া, কাউনিয়া, পীরগাছা হয়ে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ভিতর দিয়ে যমুনায় পড়েছে।

ঈদ-বৈশাখের ছুটি শেষে কর্মস্থলমুখী মানুষ

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পওর) রংপুরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. হারুন অর রশিদ জানান, ভারত একতরফাভাবে পানি প্রবাহ প্রত্যাহার করে নেওয়ায় নদীটির গুরুত্ব এখন নেই। তবে বর্তমান সরকার দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে মূল তিস্তাসহ শাখা নদীগুলো খননের জন্য প্রকল্প হাতে নিয়েছে।