আজকের যায়যায়দিন

সিলেটের বিশ্বনাথে পুলিশের সাথে ডাকাত দলের গোলাগুলির ঘটনায় পাঁচ পুলিশ ও এক ডাকাত আহত হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার খাজাঞ্চি ইউনিয়নের কুড়িখলা সেতুর পাশে গুলাগুলির এই ঘটনা ঘটে।

এ সময় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ডাকাত আকলু মিয়াকে (২৮) আটক করা ছাড়াও ১টি পাইপগান, ২টি গুলি, ৪টি শাবল, ২টি ব্যাগ ও ১টি ভেল্ট ব্যাগ উদ্ধার করে পুলিশ।

আটক ডাকাত আকলু মিয়া উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের নওধার গ্রামের ইদ্রিছ আলীর পুত্র।

আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, বিশ্বনাথ থানার এসআই দেবাশীষ শর্ম্মা, এএসআই পরিমল চন্দ্রশীল, এএসআই জামাল খান, কনস্টেবল আব্দুল হক ও আবুল কালাম এবং ডাকাত সদস্য আকলু মিয়া।

বাড়ছে খাদ্য ও পানীয় জলের সংকট / বন্যপ্রাণীদের ওপর পড়ছে দাবদাহের বিরূপ প্রভাব

আহতদের সবাইকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে এদের মধ্যে এএসআই পরিমলের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে খাজাঞ্চি ইউনিয়নের একটি বাড়িতে ডাকাতির জন্য ১০/১২ জনের একদল ডাকাত প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে তারা খবর পান।

পরে ওসমানীনগরের সার্কেল সাইফুল ইসলাম, থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম, ওসি তদন্ত দুলাল আকন্দসহ একদল পুলিশ সেখানে গিয়ে উপস্থিত হয়।

পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়তে বাধ্য হয়। প্রায় ১০ মিনিটের গোলাগুলিতে উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায় ২৪ রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়। এ সময় অন্য ডাকাতরা পালিয়ে গেলেও ডাকাত আকলু মিয়াকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটক করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নবনিযুক্ত সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন পিপিএম বলেন, 'এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে ডাকাতির প্রস্তুতি ও অস্ত্র আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।'