মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ছেলেধরা সন্দেহে এক মহিলাকে আটকের পর গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।
শনিবার বিকালে উপজেলার বড়ইহাজী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আটক মহিলার নাম হালিমা বেগম (২৮)। সে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার কালীখোলা গ্রামের শফিকুল ইসলাম শফিকের স্ত্রী ও একই উপজেলার নয়াগাঁও গ্রামের মৃত শাহ মোলস্নার মেয়ে।
পরে পুলিশ হেফাজতে গণপিটুরির শিকার হালিমাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বড়ইহাজী গ্রামের দ্বীন ইসলামের স্ত্রী ঝুমা আক্তার (২৫) জানান, শনিবার বিকালে দুইজন মহিলা তার বাসায় এসে পানি পান করতে চান। তিনি ঘর থেকে পানি এনে দেন এবং খালি গস্নাস ঘরে রেখে এসে দেখেন ঘরের সামনে খেলায়রত তার এক বছরের শিশুকন্যা সুয়াইবা নেই। তখন ওই দুই মহিলাও সেখান থেকে চলে গেছেন।
বাড়ির আশপাশে অনেক খুঁজেও তাকে না পেয়ে পরে সঞ্চয়কস্তা মার্কেটের সামনে গিয়ে দেখেন ওই দুই মহিলার একজন তার মেয়েকে কোলে নিয়া নিমতলার দিকে চলে যাচ্ছেন। এ সময় ঝুমা আক্তার চিৎকার দিয়ে দৌড়ে গিয়ে ওই মহিলার কোল থেকে তার মেয়েকে কেড়ে নেন।
এদিকে উপস্থিত লোকজন ছেলেধরা সন্দেহে ওই মহিলাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে খবর দেয়। এ ঘটনায় বাদী হয়ে ঝুমা আক্তার শনিবার রাতেই সিরাজদিখান থানায় ওই মহিলার নামে একটি অপহরণ মামলা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ফরিদ উদ্দিন।
এদিকে আটক হালিমার ভাই শরীফ জানান, তার বোন মানসিক রোগী। গত রমজানে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। আজ খবর পেয়ে হাসপাতালে এসেছেন তারা।