শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মেঘনায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন

হুমকির মুখে বাঁধসহ কয়েক গ্রাম
নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) সংবাদদাতা
  ১৭ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে হুমকির মুখে পড়েছে নদীর তীরবর্তী কয়েকটি গ্রাম ও ৩৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন বেড়িবাঁধ।

জানা গেছে, স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল দীর্ঘদিন ধরে মেঘনা নদীর বিভিন্ন স্থানে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোন করায় উপজেলার সাহেবনগর মানিকনগর, নয়াপাড়া, শ্রীঘর, নাসিরাবাদ হুমকির মুখে পরেছে। যে কোন সময় তীরবর্তী এসব গ্রাম মেঘনার বুকে বিলিন হয়ে যেতে পারে।

ইতিমধ্যেই মেঘনার তীরবর্তী বেশকিছু ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যাওয়ায় সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পথে বসেছেন অনেক পরিবার।

এছাড়া এসব গ্রামের মানুষ বর্তমানে ভিটা-বাড়ি হারানোর আতংকে রয়েছেন।

এদিকে নদী ভাংগন থেকে গ্রাম রক্ষা প্রকল্পের সরকার ৩৮ কোটি টাকা ব্যায়ে নবীনগর মেঘনা নদী বেরিবাঁধ নির্মান কাজ চললেও বালু উত্তোলনের ফলে মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে প্রকল্পটি।

বালু উত্তোলন বন্ধে গত রোববার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর এলাকার শতাধিক মানুষের স্বাক্ষরিত একটি লিখিত আবেদন করা হয়েছে।

সরজমিন দেখা যায়, মেঘনা নদী বালু মহালের ইজারাদার মো. কাইয়ুম মিয়া ইজারার নীতিমালা উপেক্ষা করে অনির্ধারিত স্থানে কয়েকটি লোড ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছে।

বেশ কয়েকটি ড্রেজার নাসিরাবাদ ও বেড়িবাঁধ ঘেঁষে বসানো হয়েছে। প্রতিদিনই ভোর বেলায় লোক চক্ষুর আড়ালে নির্ধারিত সীমানা পেরিয়ে নাসিরাবাদ গ্রাম সীমানা সংলগ্ন ও বেড়িবাঁধ সংলগ্ন স্থানে ওই ইজারাদার ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছেন।

স্থানীয়দের আশঙ্কা এভাবে চলতে থাকলে কিছু দিনের মধ্যেই ওই অঞ্চল নদী ভাঙনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বালু মহাল ইজারাদার মো. কাইয়ুম মিয়া বলেন, 'আমি আমার সীমানার মধ্যেই বালু উত্তোলন করছি,। অভিযোগকারীরা এই মহলটি ইজারা ডাকে অংশগ্রহন করেছিলেন। না পেয়ে তারা শুত্রম্নতাবশত আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ এনেছে। আমি বালু উত্তোলনে সরকারি বিধি লঙ্গন করিনি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুম বলেন, 'সহকারী কমিশারকে (ভূমি) বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।'

এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি ) জেপি দেওয়ান বলেন, 'জনস্বার্থে ব্যাঘাত হবে এমন কাজ কেউ করতে পারে না। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<58552 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1