শেরপুর (বগুড়া) সংবাদদাতা
বগুড়ার শেরপুরের ভবানীপুর ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি নানা সমস্যায় জর্জরিত। জনবল সংকট, তদারকির অভাবসহ নানা সংকটে চলছে ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি।
জানা যায়, ১৯৯৫ সালের ২৭ ফেব্রম্নয়ারিতে স্থাপন করা হয় ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি। উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির দ্বিতল ভবনের উদ্বোধন করেন তৎকালীন স্থানীয় সংসদ সদস্য। কিন্তু উদ্বোধনের পর থেকেই মিলছে না কাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্যসেবা। বর্তমানে স্বাস্থ্যবিভাগের কৃর্তপক্ষের অবহেলা ও উদাসীনতায় চরম দুরবস্থা স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির। যেখানে একজন এমবিবিএস ডাক্তারের জন্য আবাসিকসহ রোগীদের সেবার উন্নত ব্যবস্থা থাকার কথা সেখানে মিলছে না নূ্যনতম স্বাস্থ্য সেবা। শুধু একজন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (স্যাকমো) দিয়েই চলছে ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি।
ভবানীপুর ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার রহমতুল বারী খন্দকার রাসেল জানান, স্বাস্থ্য কেন্দ্রে একজন এমবিএসসি চিকিৎসক, ১ জন ফার্মাসিস্ট, ১ জন পিয়ন ও ১জন এসএসিএমও (স্যাকমো) এর পদ থাকলেও তিনি ছাড়া বাকি পদগুলো বর্তমানে শূন্য রয়েছে। এতে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত রোগীদের প্রাথমিক সেবা ও ওষুধ দেওয়া হয়। এছাড়া সপ্তাহে একদিন পরিবার পরিকল্পনার সেবা ও পরামর্শ দেয়া হয়।
এলাকাবাসী জানান, ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়মিত একজন এমবিবিএস ডাক্তার চিকিৎসাসেবা দিলে সাধারণ মানুষের খুবই উপকৃত হতো। কেন্দ্রটিতে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা পেলে ১৬ কিলোমিটার দুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে যেতে হতো না। এ ব্যাপারে ভবানীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়াম লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ জানান, ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে স্থানীয় জনগন প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুল কাদের বলেন, জনবল সংকটের ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।