আজকের যায়যায়দিন

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) সংবাদদাতা

গাজীপুরের কালীগঞ্জের তুমলিয়া ইউনিয়নের ভাইয়াসূতি হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার ছাত্র ইফাদ, ইয়াসিন ও আজিজুল। তাদের তিনজনের বয়সই ১৩ বছর। তবে তাদের এক পা ছিল লোহার শিকলে তালাবদ্ধ। তাদের প্রতিদিনের জীবন রুটিনমাফিক পরিচালিত হতো না। দিনের ২৪ ঘণ্টাই কাটত লোহার শিকলে তালাবদ্ধ অবস্থায়। আর এভাবেই প্রতিদিনের খাওয়া-দাওয়া, টয়লেট-গোসল, লেখাপড়া, ঘুম সবই চলছিল। বিষয়টি নিয়ে যায়যায়দিনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

এই সংবাদে ইউএনও মো. শিবলী সাদিক উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে ভাইয়াসূতি হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় অভিযান চালান।

সেখানে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পান এবং ওই মাদ্রাসার হেফজখানায় অধ্যয়নরত কিশোর ইফাদ, ইয়াসিন ও আজিজুলের পায়ের তালাবদ্ধ লোহার শিকল মুক্ত করেন। পাশাপাশি এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না করার জন্য মাদ্রাসার শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটিকে সতর্ক করেন। ইউএনও মো. শিবলী সাদিক জানান, বিষয়টি খুবই ন্যক্কারজনক। প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। সেই প্রেক্ষিতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ জুবের আলমকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির বাকি দুইজন হলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নূর-ই-জান্নাত ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. শাহাদাৎ হোসেন।

প্রখর রোদে কাজের পর 'কৃষক সেডেই' শান্তি