শেরপুরের ফার্মেসিগুলোতে এক সপ্তাহ ধরে নেই কোনো জীবাণুনাশক ফ্লুইড, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হ্যাক্সিসল ও মাস্ক। এতে করোনাভাইরাস ঝুঁকি এড়াতে বিপাকে আছেন সাধারণ মানুষ। বিক্রেতাদের দাবি, চাহিদা থাকলেও কোম্পানির সরবরাহ নেই।
চোখ, মুখ, নাক ও হাতের মাধ্যমে সংক্রমণ হতে পারে করোনাভাইরাস। এমন প্রচারণার পরও শেরপুরে দেখা মেলে মাস্ক ছাড়াই রাস্তাঘাটে চলাফেরা করছেন সাধারণ মানুষ, হাটবাজারে ভিড় লেগেই আছে। এদের কেউ কেউ ব্যবহার করছেন কাপড়ে তৈরি মাস্ক, যার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। অধিকাংশ মানুষের অভিযোগ, ফার্মেসিগুলোতে নেই কার্যকর সার্জিক্যাল মাস্ক বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হ্যাক্সিসল।
ফার্মেসির বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে বারবার চাহিদাপত্র দেওয়ার পরও পাচ্ছেন না তারা। শেষ হয়ে গেছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হেক্সিসলসহ জীবাণুনাশক ফ্লুইড। আরেকজন বলেন, এখন পর্যাপ্ত মাস্ক, হ্যাক্সিসল, হ্যান্ড স্যানিটাইজার দরকার। কিন্তু তা তো পাওয়াই যাচ্ছে না। ফার্মেসির বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে বারবার চাহিদাপত্র দেওয়ার পরও পাচ্ছেন না তারা। শেষ হয়ে গেছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হেক্সিসলসহ জীবাণুনাশক ফ্লুইড। প্রতি শিডিউলেই অর্ডার দিচ্ছেন।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. এ কে এম আনোয়ারুর রউফ বলেন, এ মুহূর্তে তিন স্তরের কাপড়ে তৈরি মাস্ক, ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার করা যেতে পারে। সাবান দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে বারবার। সর্বোপরি জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে।