আজকের যায়যায়দিন

গাজীপুরে মালয়েশিয়াফেরত এক আসামিসহ সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী ৫৭৯ জন প্রবাসী হোম কোয়ারেন্টিনে এবং ৪৭ জন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। এছাড়া সহস্রাধিক বিদেশ থেকে গাজীপুর ফেরত নাগরিকদের পুলিশ ও গ্রাম পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট কর্মীরা খুঁজছেন।

গাজীপুরে সংশ্লিষ্ট উপজেলা কর্মকর্তা ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মঙ্গলবারের তথ্যানুযায়ী ১ মার্চের পর থেকে দেশে ফেরতের তালিকানুযায়ী শ্রীপুর উপজেলায় ২৫৪ জন প্রবাসীর মধ্যে ১৩০ জন, কালীগঞ্জ উপজেলায় ২৫৭ জন প্রবাসীর মধ্যে ৮৪ জন, (এ উপজেলায় ১০৩ জন কোয়ারেন্টিনের সময় অতিক্রম করে মুক্ত হয়েছেন, অন্যদের পাওয়া যায়নি।) কালিয়াকৈর উপজেলার ৮৭ জন প্রবাসীর মধ্যে ৭৯ জন, কাপাসিয়ায় ২৯৭ জন প্রবাসীর মধ্যে ৯৯ জন, গাজীপুর সদর উপজেলায় ১৫ মার্চের পর থেকে ২৪৪ জনের মধ্যে ৯২ জন হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন।

জেলা সিভিল সার্জন মো. খায়রুজ্জামান বুধবার দুপুরে জানান, সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী গাজীপুরে ৫৭৯ জন প্রবাসী হোম কোয়রেন্টিনে এবং ৪৭ জন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। তবে তিনি এ সময় গাজীপুরে ফেরত প্রবাসীদের সঠিক সংখ্যা জানাতে পারেননি।

জেলা সিনিয়র জেল সুপার নেছার আহমেদ জানান, টঙ্গী (পূর্ব) থানার চেক ডিজ অনার মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া এক আসামিকে কারাগারের ভেতরে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। সম্প্রতি মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরে গ্রেপ্তার হলে আদালতের নির্দেশে তাকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়।

প্রখর রোদে কাজের পর 'কৃষক সেডেই' শান্তি

তিনি আরও জানান, তার কারাগারেও করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে নেয়া হয়েছে অতিরিক্ত সতর্কতা। বাইরে থেকে কারাগারের ভেতরে ঢোকার সময় প্রতি আসামিকে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া ও তাপমাত্রা মাপা হয়। কোয়ারেন্টিনের শর্তমতে নতুন বন্দিকে ১৪ দিন আলাদা রাখা হবে। আসামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রার্থীদেরও একইভাবে কারা ফটকে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।