আজকের যায়যায়দিন

সারাদেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে স্থানীয় প্রশাসন সামাজিক দূরত্ব বাজায় রাখার জন্য বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে গেলেও মানছে না কেউ। ফরিদপুর জেলা শহর ও উপজেলার বিভিন্ন ছোট-বড় বাজারগুলোতে এখনো দেখা যাচ্ছে মানুষের বিচরণ। এদিকে স্থানীয় প্রশাসনের পাশে সক্রিয় রয়েছে পুলিশ সদস্যরা। শহরে প্রবেশের প্রধান সড়কগুলোর মুখে ৩০টি স্থানে সকাল থেকে অবস্থান নেয় পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত জেলা সদর ও উপজেলাগুলোতে টহল জোরদার করেছে জেলা পুলিশ।

ফরিদপুর জেলার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. তুহিন লস্কর জানান, 'এখনো যারা আইন মানছে না, তাদের বিরুদ্ধে ট্রাফিক আইনের আওতায় আনা হচ্ছে'। যেসব মোটরসাইকেল-অটো কিংবা এ জাতীয় যানে একাধিক মানুষ চলাফেরা করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল ইসলামের নেতৃত্বে সকাল থেকে শহরের ভাঙা রাস্তা মোড়ে টহলরত দেখা গেছে। এ সময় ওই সড়ক দিয়ে যারা অযাচিত চলাফেরা করছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদসহ নানা প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। এমনকি অনেক যানবাহনকে ট্রাফিক আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।

এ বিষয়ে পুলিশের ওই কর্মকর্তা জানান, 'সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে শহরের পুলিশের ৩০টি টিম সক্রিয়ভাবে সড়কগুলোতে অবস্থান নিয়েছে। কোনোভাবেই একাধিক মানুষ অযাচিত চলাফেরা করতে না পারে সে বিষয়ে কাজ করছি।'

সুপেয় পানীয়জলের চরম সংকটে দাকোপবাসী

এদিকে ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. সিদ্দিকুর রহমান জানান, জেলায় বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছে ২৯১ জন। এছাড়া জেলার নয় উপজেলায় গত ২০ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত ২৯ জন আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি হয়েছে।