শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাস ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি বিএনপির

যাযাদি রিপোর্ট
  ০১ জুন ২০২০, ০০:০০
আপডেট  : ০১ জুন ২০২০, ১১:১৪

করোনাভাইরাস সংকটের মধ্যে গণপরিবহণের ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাবকে 'মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা' নীতি আখ্যায়িত করে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। রোববার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ দাবি জানান। তিনি বলেন, সরকার যে জনগণের প্রতি বৈরী তার প্রমাণ শতকরা ৮০ শতাংশ বাস ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী পরিবহণ করা হবে এ জন্য বাস-মিনিবাসের ভাড়া ৮০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ সংস্থা (বিআরটিএ)। আমি বিএনপির পক্ষ থেকে প্রায় দ্বিগুণ বাস ভাড়া বাড়ানোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে বাস ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। রিজভী বলেন, করোনার আঘাতে জনজীবন মহাবিপর্যয়ের মধ্যে আক্রান্ত রোগী ও মৃতু্যর সংখ্যা এ সপ্তাহের বাঁধভাঙা পানির মতো জনজীবনকে গ্রাস করেছে। দিন আনে দিন খায় মানুষ, দিনমজুর, রিকশাচালকসহ নিম্ন মধ্যবিত্ত ও নিম্নআয়ের মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এর ওপর বাস ভাড়া বাড়ানো ওই নিরন্ন ও বিপন্ন মানুষের ওপর কশাঘাত। বাস চালুর আগেই বাস ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্তেই প্রমাণিত হয় সরকার শোষণ ও গরিবকে মারার যন্ত্র। তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের দেওয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, তথ্যমন্ত্রী বলেছেন ত্রাণ নিতে আসার লোক পাওয়া যাচ্ছে না। তার এ বক্তব্য ফরাসি বিপস্নবের সময়ের ষোড়শ লুইয়ের স্ত্রীর কথাই মনে পড়ে যায়- 'রুটি নাই তো কী হয়েছে, কেক খাবে।' জনগণের ক্ষুধা, হাহাকার, কর্মহীন আমলে না নিয়ে সারাক্ষণ এ সরকার জনগণকে নিয়ে উপহাস করতেই ব্যস্ত। বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে ছুটি প্রত্যাহার করা হয়েছে- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যে 'গোটা জাতি বিস্মিত ও হতবাক' হয়েছে বলে মন্তব্য করেন রিজভী। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়েই নাকি ছুটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। আওয়ামী নেতার এ বক্তব্য শুনে গোটা জাতি বিস্মিত ও হতবাক। যে বিশেষজ্ঞগণ 'মৃতু্য-বীজ' ছড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন তারা কোনো বিষয়ের ওপর বিশেষজ্ঞ সেটাই এখন অনুসন্ধানের বিষয়। এ রকম বিশেষজ্ঞ ভারতের মতো দেশে পাওয়া গেল না কেন? সেখানে কেন আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত লকডাউন বলবত রাখা হয়েছে? বাংলাদেশে হঠাৎ সবকিছু খুলে দিয়ে আমরা এখন এক কঠিন সংকটের মুখোমুখি। রিজভী বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডবিস্নউএইচও) ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) নির্দেশনা অমান্য এবং করোনা নিয়ে সরকার গঠিত টেকনিক্যাল কমিটির মতামত সরাসরি অগ্রাহ্য করে সবকিছু খুলে দেওয়া হয়েছে। করোনা বিস্তারের প্রচন্ড ঝড়ের মধ্যে লকডাউন শিথিলের পরিণতি বিভিন্ন দেশে বিপজ্জনক রূপ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে