বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

পরিস্থিতির অবনতি হলে কঠোর সিদ্ধান্ত :কাদের

যাযাদি রিপোর্ট
  ০২ জুন ২০২০, ০০:০০
আপডেট  : ০২ জুন ২০২০, ১০:৫৪
ওবায়দুল কাদের

অসচেতনতা ও স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবনতি হলে জনস্বার্থে সরকার আবারও কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সোমবার দুপুরে সংসদ ভবন এলাকায় নিজের সরকারি বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, 'আমি মালিকদের স্বাস্থ্যবিধি এবং শর্ত মেনে গাড়ি চালানোর অনুরোধ করছি। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ ভিজিলেন্স টিম, মোবাইল কোর্টসহ টার্মিনাল কর্তৃপক্ষকে অর্ধেক আসন খালি রাখা, বর্ধিত ৬০ শতাংশ ভাড়া এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও মাস্ক পরিধানের বিষয় তদারকির আহ্বান জানাচ্ছি। পাশাপাশি যাত্রী সাধারণকে অনুরোধ করছি আপনারা অতিরিক্ত যাত্রী হবেন না। অর্ধেক আসন খালি রাখুন। শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে টিকিট কাটুন। নিজে সংক্রমণ থেকে বাঁচুন, অপরকে বাঁচান। 'হুড়োহুড়ি, বাড়তি যাত্রী হওয়া, স্বাস্থ্যবিধি না মেনে দেশকে আরও সংকটে নিমজ্জিত করতে পারে। আমি পরিবহণ মালিক ও শ্রমিকদের সংকটে মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপনের অনুরোধ জানাচ্ছি। আমাদের অসচেতনতা এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানায় পরিস্থিতির যদি আরও অবনতি হয় তাহলে জনস্বার্থে সরকার আবারও কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে।' পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আক্রান্ত ও মৃতু্যর সংখ্যা উদ্বেগজনক পর্যায়েও লকডাউন শিথিল করছে এবং কোথাও তুলে নিয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'পবিত্র মক্কা-মদিনা-মসজিদুল আকসাও ধীরে ধীরে মুসলিস্নদের জন্য ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। জীবনের পাশাপাশি জীবিকা দীর্ঘমেয়াদি বন্ধ থাকলে জীবনের গতিপথে নেমে আসবে স্তব্ধতা। অর্থনীতি হয়ে পড়বে স্থবির। তাই পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থান বেছে নিতে হবে। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব পরিস্থিতিতে সরকারের কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে 'দায়িত্বজ্ঞানহীন মিথ?্যাচারের' বক্তব?্য মহামারির বিরুদ্ধে সামনে থেকে লড়া যোদ্ধাদের মনোবল নষ্ট করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, "সরকার সংকটের শুরু থেকে সকল দপ্তর ও সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে তুলে সংক্রমণ রোধ, আক্রান্তদের চিকিৎসা, টেস্ট ক্যাপাসিটি বৃদ্ধিসহ ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। আকস্মিক সংকট মোকাবিলায় বিশ্বের উন্নত দেশগুলো হিমশিম খাচ্ছে। আমরা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও সংকট সমাধানের সক্ষমতা বৃদ্ধি করছি। গড়ে তোলা হয়েছে সু-সমন্বয়। 'কেন্দ্র থেকে উপজেলা পর্যন্ত চিকিৎসা নেটওয়ার্কসহ সচেতনতা তৈরিতে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে সরকার। খাদ্য সহায়তা, আর্থিক সহায়তাসহ নানান উদ্যোগের ফলে আলস্নার রহমতে এখন পর্যন্ত একজন মানুষ না খেয়ে মরে নি। শেখ হাসিনার সরকারের সংকট সমাধানের সাহসী ও মানবিক প্রয়াস প্রশংসিত হচ্ছে। আর বিএনপি খুঁজে পাচ্ছে সমন্বয়হীনতা। নিজেরা অসহায় কর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়াতে নির্লজ্জভাবে ব্যর্থ হয়ে দায়িত্বহীন বক্তব্য রাখছে, বিষোদ্গার করছে, যা প্রকারান্তরে ফ্রন্টলাইন যোদ্ধা ও আক্রান্তদের মনোবল নষ্ট করছে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে