আজকের যায়যায়দিন

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, নির্বাচন পেছানোর আইনগত কোনো সুযোগ নেই।

শনিবার দুপুরে যশোর-৬ আসনের (কেশবপুর) উপনির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকরা তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, 'নির্বাচন কমিশনের কাছে নির্বাচন পেছানোর আইনগত কোনো সুযোগ নেই। তবে মহামান্য রাষ্ট্রপতি বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে নিতে পারেন। আমরা রাষ্ট্রপতির শরণাপন্ন হয়েছিলাম। তিনিও বলেছেন নির্বাচন না করার কোনো সুযোগ নেই।'

গত ২১ জানুয়ারি ইসমাত আরা সাদেকের মৃতু্যতে যশোর-৬ আসন ফাঁকা হয়। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকায় করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেই আগামী ১৪ জুলাই উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণের তারিখ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী উদ্বোধন / বিএনপির চিন্তাধারা ছিল আমরা হাত পেতে চলব : প্রধানমন্ত্রী

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, 'কোনো ব্যক্তি বা দলকে সুবিধা দিতে নয়, সাংবিধানিক কারণেই করোনাভাইরাসের মধ্যে উপ-নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। করোনাভাইরাস আছে। আরও অনেক দিন থাকবে। তার জন্য সবকিছু বন্ধ রাখা যাবে না। দৈনন্দিন কাজ ও নির্বাচনের মতো কাজ এর মধ্যেই করতে হবে।'

এজন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে প্রচারণা চালানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন তিনি। একই সঙ্গে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের মাস্ক খুলে পরিচয় নিশ্চিত করতে হবে বলেও তিনি উলেস্নখ করেন।

কেশবপুর আবু শারাফ সাদেক অডিটোরিয়ামে এ সভা হয়। সভায় প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের শাহীন চাকলাদার ও জাতীয় পার্টির হাবিবুর রহমান ছিলেন।

এ ছাড়া যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান, নির্বাচন কমিশনার সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী, নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহমেদ খান, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, ডিআইজি খন্দকার মহিদ উদ্দিন সভায় ছিলেন।