বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ময়ূর-২ লঞ্চের মাস্টার গ্রেপ্তার

যাযাদি রিপোর্ট
  ১৪ জুলাই ২০২০, ০০:০০
আপডেট  : ১৪ জুলাই ২০২০, ১০:৪৬
মো. আবুল বাসার

বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চডুবির ঘটনার পর অভিযুক্ত ময়ূর-২ লঞ্চের মাস্টার মো. আবুল বাসার (৫৭) আত্মগোপনে চলে যান। গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি দেশের বিভিন্নস্থানে পালিয়ে ছিলেন। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের্ যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলেন এ তথ্য জানান র্ যাব-১০ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মো. কাইয়ুমুজ্জামান খান। গত ২৯ জুন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন ফরাশগঞ্জ ঘাটসংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে ময়ূর-২ এর একটি লঞ্চের (ঢাকা-চাঁদপুরগামী) ধাক্কায় মর্নিংবার্ড নামের লঞ্চটি ডুবে যায়। এ ঘটনায় ৩২ জনের প্রাণহানি ঘটে। মর্নিংবার্ড লঞ্চটি মুন্সীগঞ্জ থেকে যাত্রী নিয়ে সদরঘাট আসছিল। মর্মান্তিক এ লঞ্চডুবির ঘটনায় গত ৩০ জুন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। বাসার এ মামলার দুই নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি। গ্রেপ্তার ময়ূর-২ লঞ্চের মাস্টার বাসার মাগুরার মোহম্মদপুর থানার মন্ডলগাতির কলাগাছি গ্রামের মৃত সিরাজুল হক মোলস্নার ছেলে। অতিরিক্ত ডিআইজি মো. কাইয়ুমুজ্জামান খান বলেন, ঘটনার পর আবুল বাসার আত্মগোপনে চলে যান। তিনি রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় স্থান পরিবর্তন করে আত্মগোপনে ছিলেন। ঘটনার দিন তিনি নিজ গ্রাম মাগুরাতে চলে যান এবং রাতের খাবার খেয়ে পাশের একটি গ্রামের একজনের বাড়িতে রাত যাপন করেন। পরের দিন ফরিদপুরে আলফাডাঙ্গা চলে যান। সেখানে দুই দিন অবস্থান করার পর ফরিদপুরের রোয়ালমারি থানার আখালিপাড়ায় তার ভায়রার বাড়িতে অবস্থান করেন। সেখান থেকে বাসার ঢাকার দিকে আসছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন হাসনাবাদ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার বাসারকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে