আজকের যায়যায়দিন

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মানুষের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। অনেক নেতা, এমপি মন্ত্রী মারা গেছেন। আর বিএনপির নেতারা ঘরে বসে টেলিভিশনে উঁকি দিয়ে মুখ দেখাচ্ছেন। তারা মানুষের পাশে নেই। বুধবার দুপুরে যশোর সার্কিট হাউসে খুলনা বিভাগের ৩৩৮ জন সাংবাদিকদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সাজেদ রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদার, বিএফইউজের সভাপতি মোলস্না জালাল, মহাসচিব শাবান মাহমুদ, যশোরের জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন। যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মিলন রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, বিএফইউজের সহ-সভাপতি মনোতোষ বসু, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, যুগ্ম মহাসচিব সাকিরুল কবীর রিটন প্রমুখ। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, গণমাধ্যমকর্মীরা জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে কাজ করছে। পুলিশ বাহিনী বাংলাদেশের জন্য উদাহরণ তৈরি করেছে। এ ছাড়াও সেনাবাহিনী, ডাক্তার, নার্স করোনাকালের মহামারিতে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে কাজ করছে। তাদের ধন্যবাদ জানাই। তিনি বলেন, করোনাকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। সাংবাদিকদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। আশপাশের দেশ ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলংকাও এমনভাবে সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়ায়নি। শুধু ভারতে কোনো সাংবাদিক মারা গেলে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, শুধু যারা সরকারের প্রশংসা করে, তারা নয়, সমালোচক সাংবাদিকদেরও সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। সরকারি সহায়তা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ খুলনা বিভাগের ৯ জেলার সাংবাদিক নেতাদের হাতে ৩৩৮ জন সাংবাদিকের সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের করোনাকালীন সহায়তার চেক হস্তান্তর করেন। এর মধ্যে যশোরে ৪৮ জন, খুলনায় ১১৪ জন, মাগুরায় ২৭ জন, মেহেরপুরে ২৫ জন, সাতক্ষীরায় ৩৪ জন, চুয়াডাঙ্গায় ২৮ জন, ঝিনাইদহে ২৯ জন, নড়াইলে ২৭ জন এবং বাগেরহাটে ছয়জন।