শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
মায়ের জন্মবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী

স্বাধীনতা ও দেশ পুনর্গঠনে বঙ্গমাতার ভূমিকা অনন্য

'আমার মা জীবন ভিক্ষা চাননি। তিনি নিজে বাঁচতে চাননি। সাহসের সঙ্গে বলেছিলেন আমার স্বামীকে হত্যা করেছ, আমি তার কাছেই যাব'
বিশেষ সংবাদদাতা
  ০৯ আগস্ট ২০২০, ০০:০০
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার গণভবনে 'জয়তু বঙ্গমাতা' শীর্ষক স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন -ফোকাস বাংলা

'আব্বার আদর্শ মা খুব সঠিকভাবে ধারণ করেছিলেন' উলেস্নখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সেটা ধারণ করেই তিনি নিজের জীবন উৎসর্গ করে দিয়ে গেছেন। তিনি বলেন, 'আমার মা জীবন ভিক্ষা চাননি। তিনি নিজে বাঁচতে চাননি। সাহসের সঙ্গে বলেছিলেন আমার স্বামীকে হত্যা করেছো, আমি তার কাছেই যাব। বঙ্গমাতা বঙ্গবন্ধুর একজন উপযুক্ত সঙ্গী হিসেবেই চলে গেছেন। বাংলাদেশের মহাসংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতার পর দেশ পুনর্গঠনে বঙ্গমাতা অনন্য ভূমিকা রেখে গেছেন।'

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকী (৯১তম জন্মদিন) উপলক্ষে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। গতকাল বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনের এ আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। অনুষ্ঠানে 'বঙ্গমাতা : ত্যাগ সুন্দরের সাহসী প্রতীক' শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাবেক কৃষিমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী গোপালগঞ্জে আয়োজিত অনুষ্ঠানের সঙ্গেও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংযুক্ত হন। অনুষ্ঠানে বঙ্গমাতার কর্মময় জীবনের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র পরিবেশন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে আওয়ামী লীগ, অঙ্গ-সহযোগী ও সমমনা সংগঠনগুলো।

এদিকে, বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে অন্যান্য আয়োজনের মধ্যে ১০০ মেধাবী শিক্ষার্থীর মাঝে ল্যাপটপ বিতরণ, দরিদ্র-অসহায় ৩ হাজার ২০০ নারীর মধ্যে সেলাই মেশিন এবং ১ হাজার ৩০০ দরিদ্র নারীর প্রত্যেককে 'নগদ' মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ২ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এতে অংশ নেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আজ (গতকাল) বঙ্গমাতার জন্মদিন। জন্মের ৩ বছর পর থেকেই পিতা-মাতা সব হারিয়ে তিনি সারাজীবন শুধু সংগ্রামই করে গেছেন। কষ্টই করে গেছেন। কিন্তু এ দেশের স্বাধীনতার জন্য তিনি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন। তিনি মনেপ্রাণে চাইতেন- দেশ স্বাধীন হবে, বাংলাদেশের মানুষের মুক্তি আসবে, বাংলাদেশের মানুষ ভালো থাকবে।'

বঙ্গমাতার সংগ্রাম ও ত্যাগের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ত্যাগের মধ্য দিয়ে একটা সংসারকে সুন্দর করা যায়, একটা প্রতিষ্ঠানকে সুন্দর

করা যায়, একটা দেশকে সুন্দর করা যায়। চাওয়া-পাওয়ার ঊর্ধ্বে উঠে নিজেকে বিলিয়ে দেওয়ার চেয়ে বড় কিছু হয় না। আমার মা সেই দৃষ্টান্তই দেখিয়ে গেছেন। তিনি ছিলেন একজন মহীয়সী নারী। বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের সংগ্রামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একজন যোগ্য ও বিশ্বস্ত সহচর এবং বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের সহযোদ্ধা। তিনি অসাধারণ বুদ্ধি, সাহস, মনোবল, সর্বসংহা ও দূরদর্শিতার অধিকারী ছিলেন। আমৃতু্য দেশ ও জাতি গঠনে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন। ৬ ও ১১ দফার আন্দোলনে তিনি বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে গৃহবন্দি থেকে এবং পাকিস্তানে কারাবন্দি স্বামীর জীবন-মৃতু্যর সন্ধিক্ষণে গভীর অনিশ্চয়তা ও শঙ্কা সত্ত্বেও তিনি সীমাহীন ধৈর্য, সাহস ও বিচক্ষণতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেন।

স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বঙ্গমাতা যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করেন উলেস্নখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশেষ করে আত্মত্যাগী, লাঞ্ছিত মা-বোনদের সহযোগিতা করা, তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করাসহ ব্যক্তিগতভাবে তাদের পাশে দাঁড়িয়ে সান্ত্বনা দেন এবং সামাজিকভাবে তাদের প্রতিষ্ঠিত করার উদ্যোগ নেন।

মাকে স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো দিন সংসারের কোনো ব্যাপারে তিনি আমার আব্বাকে কিছু বলেননি, কোনো কিছু চাননি। শুধু বলতেন, তোমার এগুলো দেখা লাগবে না, আমি সব দেখব। যার ফলে আমার বাবা নিজে সম্পূর্ণভাবে একটা দেশের জন্য কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন। বেশিরভাগ সময়ই তো আব্বা কারাগারে ছিলেন। টানা দুই বছরও তিনি কারাগারের বাইরে থাকেননি। কিন্তু মা কারাগারে দেখা করতে গিয়ে নিজেই বলতেন চিন্তার কিছু নেই। সব কিছু তিনি নিজেই দেখবেন।

শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জীবন ও কর্ম থেকে রসদ নিয়ে নিজেদের গড়ে তুলতে বর্তমান প্রজন্মের নারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কারাগারে থাকা অবস্থায় বঙ্গমাতা একদিকে সংসার সামলাতেন আর অন্যদিকে দলীয় নেতাকর্মীদের খোঁজ-খবর রাখতেন। পাশাপাশি দক্ষতার সঙ্গে সংগঠন পরিচালনা করে সঠিক সিদ্ধান্তও দিতেন।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, আমাদের মানুষ করার দায়িত্ব আমার মায়ের হাতেই ছিল। তার পাশাপাশি বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ প্রতিটি সংগঠনের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। নির্দেশনা দেওয়া বা বাইরের অবস্থা জেলখানায় থাকা আব্বাকে জানানো, বাবার নির্দেশনা নিয়ে এসে সেগুলো পৌঁছে দেওয়া- এই কাজগুলো তিনি খুব দক্ষতার সঙ্গে করতেন।

বঙ্গমাতার মধ্যে অহমিকা বোধ ছিল না উলেস্নখ করে কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, আব্বা যখন প্রধানমন্ত্রী হয়ে ফিরে এলেন তখনো আমার মায়ের মধ্যে অহমিকা বোধ ছিল না। তিনি কখনো সরকারি বাসভবনে বসবাস করেননি। তিনি বলতেন, আমার ছেলে-মেয়েকে নিয়ে সরকারি বাসভবন বা শান-শওকতে থাকব না। তারা বিলাসী জীবনে অভ্যস্ত হোক সেটা আমি চাই না। বিলাসিতায় আমরা যেন গা না ভাসাই সে ব্যাপারে তিনি যথেষ্ট সচেতন ছিলেন। তিনি সবসময় আমাদের সেই শিক্ষাই দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা সন্তানদের মাটির দিকে চেয়ে চলতে শিখিয়েছেন। তারা বলতেন, অন্তত তোমার চেয়ে খারাপ অবস্থায় কে আছে তাকে দেখো। তোমার চেয়ে কে ভালো আছে সেটা নয়, তোমার চেয়ে খারাপ যারা আছে তাদের দিকে দেখো এবং সেটাই উপলব্ধি করো। কখনো নিজের দৈন্যতার কথা বলতেন না। কখনো কোনো চাহিদা ছিল না। নিজে কোনোদিন কিছু চাননি। সবসময় তিনি দিয়ে গেছেন।

তিনি বলেন, কাজের জন্য আব্বা সকালে বাড়ি থেকে নাস্তা করে চলে আসতেন। আবার দুপুরে আমার মা নিজের হাতে রান্না করে টিফিন ক্যারিয়ারে খাবার পাঠিয়ে দিতেন। মা রান্নাটা সবসময় নিজের হাতে করতেন। প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী পাকের ঘরে গিয়ে রান্না করবেন সেইসব চিন্তা তার কখনো ছিল না। তিনি বলেন, মায়ের হাতের রান্না খুব সুস্বাদু ছিল।

প্রধানমন্ত্রী আক্ষেপ করে বলেন, যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বঙ্গবন্ধুর হাতে সৃষ্টি; পাকিস্তান আমলে বাঙালি সেনাবাহিনীর সদস্যরা কখনো 'মেজর'র ওপর কোনো প্রমোশন পেত না আর বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু অনেককে মেজর জেনারেল করেছিলেন সেই মেজর জেনারেল জিয়া থেকে শুরু করে মেজর হুদা, নূর, কর্নেল ফারুক, কর্নেল রশিদ প্রমোশন পেয়েছিলেন। কর্নেল ফারুক তো আমাদের বাড়িতে ডিউটি করতেন, সিকিউরিটি ছিল, তারাই আমার মা-বাবাকে হত্যা করল।

তিনি বলেন, মেজর ডালিম, তার বউ ও শাশুড়ি প্রায়ই আমাদের বাড়িতে যাতায়াত করতেন। ২৩ জুলাই যখন বাংলাদেশ ছেড়ে আমি ও রেহানা জার্মানিতে যাব, সেদিন জয়ের জন্মদিন। আমাদের বাড়িতে ঘটা করে কারও জন্মদিন পালন হতো না। ঘরোয়াভাবে জন্মদিন পালন করছি। সেদিনও মেজর ডালিম, তার স্ত্রী ও ডালিমের শাশুড়ি এসেছিলেন। এমন কোনো দিন নেই তারা আমাদের বাড়িতে না আসতেন। তাদের দাওয়াত করা লাগতো না। তারা এমনিতেই এসে হাজির হতেন। সেই বাবার হাতে গড়া সেনা সদস্যরাই মা-বাবার বুকে গুলি চালিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের দেশকে ভালোভাবেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলাম। মুজিববর্ষ পালন করছি। বাংলাদেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করে গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছিলাম। এর মধ্যে করোনাভাইরাস এসে আমাদের অগ্রগতিতে বাধা সৃষ্টি করল। কিন্তু কিছু করার নেই। কারণ বিশ্বব্যাপী এই সমস্যা। যাহোক এখান থেকেও আমরা একদিন অবশ্যই উত্তরণ ঘটাব। বাংলাদেশকে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ব। আমি মনে করি দেশ গঠনে আমার মায়ের ত্যাগ বৃথা যাবে না।

এ সময় গণভবন প্রান্তে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম প্রমুখ।

বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তন প্রান্তে অন্যদের মধ্যে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি, মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী রওশন আক্তার উপস্থিত ছিলেন। গোপালগঞ্জ প্রান্তে জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানাসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

১৯৩০ সালের ৮ আগস্ট গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে তাকেও হত্যা করা হয়।

সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন

এদিকে, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার সকালে বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা জানায় আওয়ামী লীগ, অঙ্গ-সহযোগী ও সমমনা সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা। শ্রদ্ধা জানানো শেষে মোনাজাত, মিলাদ ও দোয়া পড়েন নেতাকর্মীরা। এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, আব্দুল মতিন খসরু, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক সামসুন্নাহার চাঁপা, মহিলা ও শিশুবিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপস্নব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, আ খ ম জাহাঙ্গির হোসাইন, অ্যাডভোকেট রিয়াজুল কবির কাউছার, গোলাম রাব্বানী চিনু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, যুব মহিলা লীগ, ছাত্রলীগসহ সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের নেতাকর্মীরাও ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<108211 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1