মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

খালেদা জিয়ার সাজার স্থগিতাদেশ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে পরিবার :ফখরুল

যাযাদি রিপোর্ট
  ০৯ আগস্ট ২০২০, ০০:০০
মির্জা ফখরুল ইসলাম

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দলীয় প্রধানের সাজার স্থগিতাদেশের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদনের বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি, করলে পরিবারই করতে পারে। সময় বাড়ানোর বিষয়ে পরিবারও এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। অতীতের মতো পরিবার থেকেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। শনিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনাকালে তিনি এসব বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, সাজা স্থগিতের বিষয়ে চেয়ারপারসনের পরিবারের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেহেতু তারা এর আগে আবেদন করে সরকারের সাথে কথা বলে সাজা স্থগিত করিয়েছিলেন। এখনো যেহেতু তিনি সুস্থ হননি এবং একেবারে আগের অবস্থাতেই আছেন। সুতরাং সাজা স্থগিতের সময়টা বাড়ানো এখন জরুরি প্রয়োজন। সময়মতোই পরিবারের পক্ষ থেকে \হআবেদন করা হবে বলে জানান মির্জা ফখরুল। খালেদা জিয়ার চিকিৎসার অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা যেটা চলছিল সেটাই চলছে। হাসপাতালের ডাক্তাররা যেটা চিকিৎসা দিয়েছিলেন সেটাকেই ফলোআপ করছে এখন তার ব্যাক্তিগত চিকিৎসকেরা। এখন যতটুকু সম্ভব লন্ডনের অবস্থানরত জ্যেষ্ঠ ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করে, তার পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা চলছে। এর আগে পরিবারের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার বোনের শারীরিক অবস্থা জানিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য মুক্তি চেয়ে আবেদন করেন। সেই আবেদন বিবেচনায় নিয়ে গত ২৫ মার্চ সরকার তার নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার সাজা ৬ মাসের স্থগিত করে মুক্তি প্রদান করে। এই স্থগিতাদেশে বলা হয়েছিল যে, খালেদা জিয়া গুলশানের বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। ২৫ মার্চ বিএসএমএমইউর কেবিন বস্নক থেকে মুক্ত হওয়ার পর থেকে গুলশানে ফিরোজায় খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে। খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য তার ব্যক্তিগত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটা টিম রয়েছে। প্রতি সপ্তাহে তারা তার চিকিৎসার বিষয়টি পর্যালোচনা করেন বলে জানান বিএনপি মহাসচিব। ৭৫ বছর বয়েসি খালেদা জিয়া হাতে ও পায়ের হাঁটুতে আর্থারাইটিসের ব্যথা, ডায়াবেটিক, চোখের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে নিজে হাঁটতে পারেন না, অন্যের সহযোগিতায় তাকে চলতে হয়। সরকার কর্তৃক গত ২৫ মার্চ থেকে ছয় মাসের স্থগিতাদেশে খালেদা জিয়ার তার বাসাতে একান্তে সময় কাটাচ্ছেন। পরিবারের কয়েকজন সদস্য ছাড়া কাউকে বাসায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। দলের নেতাকর্মীরাও খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ পাননি। দুই ঈদে অর্থাৎ ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহাতে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিয়ম করতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ ?টুকু সাক্ষাৎ করেন। এছাড়া খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্য বোন সেলিমা ইসলাম ও ভাই শামীম ইস্কান্দার ছাড়াও পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দারের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা সব সময় এবং প্রয়াত ভাই সাইদ ইস্কান্দারের স্ত্রী নাসরিন ইস্কান্দারও মাঝেমধ্যে খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করেন। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রম্নয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাবন্দির জীবন শুরু করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা ছাড়াও আরও ৩৪টি মামলা রয়েছে, যার বেশিরভাগ ১/১১-এর সরকারের আমলে দায়ের করা হয়েছিল।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে