আজকের যায়যায়দিন

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণীই ছিলেন না, তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর সার্বক্ষণিক রাজনৈতিক সহযোদ্ধা। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ডাক অর্থাৎ ৭ই মার্চের ভাষণের আগ মুহূর্তে বঙ্গমাতাই জাতির পিতাকে চূড়ান্ত অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিলেন।

বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে গতকাল শনিবার এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় অবস্থিত মন্ত্রীর সরকারি বাসভবন থেকে এক ভিডিও বার্তায় সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার আমৃতু্য সঙ্গী মহীয়সী নারী, দেশের স্বাধীনতাসহ সব গৌরব অর্জনের নেপথ্য প্রেরণাদাত্রী বঙ্গমাতা মুজিব। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির দীর্ঘ মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে শুধু বাঙালির জাতির পিতাই হননি, তিনি হয়ে উঠেছিলেন একজন বিশ্ববরেণ্য রাজনীতিবিদ ও রাষ্ট্রনায়ক। আর এর পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তারই সহধর্মিণী ও বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের সহযোদ্ধা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বেগম মুজিবের সঙ্গে বিশ্বের আরেক খ্যাতিমান নারী এলিনর রুজভেল্টের অনেক সাদৃশ্য রয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে চারবার নির্বাচিত ও দীর্ঘকালীন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্টের স্ত্রী এলিনর রুজভেল্ট ও বেগম মুজিব দু'জনেই শৈশবে তাদের বাবা-মাকে হারিয়েছিলেন। দু'জনেই তাদের চাচাতো ভাইকে বিয়ে করেছিলেন আর দু'জনেই তাদের স্বামীর রাজনীতিতে অসামান্য ভূমিকা রেখেছিলেন। দু'জনের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব একটা রাষ্ট্রের স্বাধীনতা অর্জনের ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ অবদান রেখেছিলেন, অন্যজনের তা করা হয়নি।

১৫ দিনে ৩৬৭ মৃতু্য / এবারের ঈদযাত্রায় সড়কে প্রাণহানি বেড়েছে