রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে নিরাপদ, দ্রæত ও টেকসই প্রত্যাবাসনের ওপর ভারতের দৃষ্টি রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দেশটির হাই কমিশনার হষর্ বধর্ন শ্রিংলা।
প্রথমবারের মতো সোমবার কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালংয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদশের্ন গিয়ে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত এ কথা বলেন।
ত্রাণ ও দুযোর্গ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার হাতে রোহিঙ্গাদের জন্য ভারতের পক্ষ থেকে তৃতীয়বারের মতো ত্রাণ সহায়তা হস্তান্তর করেন তিনি।
মিয়ানমারের রাখাইনে জাতিগত নিধন অভিযানের মুখে পালিয়ে আসা ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ।
‘অপারেশন ইনসানিয়াতের’ আওতায় এবার রোহিঙ্গাদের জন্য প্রতিবেশী দেশটি ১১ লাখ লিটার কেরোসিন তেল ও ২০ হাজার কেরোসিনের চুলা দিয়েছে।
ভারতের সহায়তার জন্য ত্রাণমন্ত্রী ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই ত্রাণসামগ্রী দিয়ে ২০ হাজারের বেশি পরিবার পঁাচ মাসের রান্নার ব্যবস্থা হবে। ‘এখানে সবচেয়ে বড় জ্বালানি সংকট। আমরা ভারতের কাছে সহায়তা চেয়েছিলাম। তারা দ্রæত সাড়া দিয়েছে। এ জন্য ধন্যবাদ।’
সংকটের সময়ে ভারত সব সময়ই বাংলাদেশের পাশে থাকে মন্তব্য করে ভারতীয় হাই কমিশনার বলেন, ভারত মানবিক সহায়তা দেয়া অব্যাহত রাখবে।
এর আগে দ্বিতীয় ধাপে মোট ৩৭৩ মেট্রিক টন ত্রাণসামগ্রী দেয় ভারত, যার মধ্যে ছিল ১০৪ মেট্রিক টন গুঁড়ো দুধ, ১০২ মেট্রিক টন শুঁটকি, ৬১ মেট্রিক টন শিশু খাদ্য, ৫০ হাজার রেইনকোট ও ৫০ হাজার জোড়া গামবুট; প্রথম ধাপে ছিল ৯৮১ মেট্রিক টন ত্রাণ।
এর আগে সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় বিমানযোগে কক্সবাজার পৌঁছে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদশের্ন রওনা দেন ভারতের হাই কমিশনার। পরে সেখানে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় অংশ নেন।
শরণাথীর্ ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. আবুল কালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যদের মধ্যে দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ কামাল ও বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান হাফিজ আহমদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদশের্নর পর বেলা দেড়টার দিকে তিনি কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সেখান থেকে ঢাকা ফিরেন তিনি।