শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
মন্ত্রিসভার বৈঠক

ভারতীয় পণ্য পরিবহনে দুই বন্দর ব্যবহারের অনুমোদন

যাযাদি রিপোটর্
  ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

ভারতীয় পণ্য চট্টগ্রাম এবং মোংলা বন্দর ব্যবহার করে সে দেশের উত্তর-পূবর্ রাজ্যে পরিবহনের জন্য একটি চুক্তির খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার তার কাযার্লয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ভারতের সঙ্গে স্বাক্ষরের জন্য এ সংক্রান্ত খসড়া চুক্তিটির অনুমোদন দেয়া হয়।

বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জানান, ভারতের সঙ্গে স্বাক্ষরের জন্য চট্টগ্রাম ও মোংলা পোটের্ যোগাযোগের জন্য যে কমিউনিকেশন নেটওয়াকর্ তৈরি করা হচ্ছে তার চুক্তির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এখানে প্রভিশন রাখা হয়েছে নেপাল ও ভুটান যদি ইচ্ছা প্রকাশ করে তবে যুক্ত হতে পারবে।

রুট সম্পকের্ তিনি বলেন, চট্টগ্রাম ও মোংলা পোটর্ টু আগরতলা ভায়া আখাউড়া, চট্টগ্রাম ও মোংলা পোটর্ টু ডাউকি ভায়া তামাবিল, চট্টগ্রাম ও মোংলা টু সুতাকান্তি ভায়া শেওলা, চট্টগ্রাম ও মোংলা পোটর্ বিবিরবাজার ভায়া সীমান্তপুর।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে চলমান সৌহাদর্্যপূণর্ সম্পকর্ সুদীঘর্ করা এ চুক্তির উদ্দেশ্য। চট্টগ্রাম এবং মোংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারতীয় পণ্য ভারতের উত্তর-পূবর্ রাজ্যে পরিবহন করা হবে। দেশের অভ্যন্তরে পণ্য সামগ্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র বাংলাদেশের যানবাহন ব্যবহার করা হবে, বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে আন্তজাির্তক নিয়ম (গ্যাট) এবং দেশের নিয়ম মেনে চলতে হবে, শুল্ক বিভাগে ডিউটিজ অ্যান্ড ট্যাক্সেস সমপরিমাণ বন্ড গ্রহণ করা হবে। মালবাহী কাগোর্ শনাক্তকরণের জন্য ট্র্যাকিং সিস্টেম ব্যবহার করা হবে। আমাদের আইন অনুযায়ী শুল্ক ও ট্যাক্স তাদের দিতে হবে।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরের সক্ষমতা অনুসারে মালামাল পরিবহনে অগ্রাধিকার প্রদান করা হবে। বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে মালামাল পরিবহনের জন্য গ্যাট প্রিন্সিপাল অনুসারে শুল্ককর ব্যতীত চাজর্ ফি ও পরিবহন খরচ আদায় করা হবে। বাংলাদেশের স্থলবন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে স্থলবন্দরের দক্ষতা বৃদ্ধির ফি আদায় হবে।

চুক্তি অনুযায়ী, নৌ সচিবদের নেতৃত্বে গঠিত ইন্টার গভনের্মন্ট কমিটির মাধ্যমে উদ্ভূত সমস্যার নিরসন করা হবে এবং উভয় দেশের কমর্কতার্ সমন্বয়ে কাস্টমস অ্যান্ড পোটর্ সাব গ্রæপ গঠন করা হবে। জরুরি প্রয়োজনে বা রাষ্ট্রের নিরাপত্তার স্বাথের্ যেকোনো পক্ষের চুক্তি বাস্তবায়ন সাময়িকভাবে স্থগিত করার সুযোগ আছে। চুক্তিটি পঁাচ বছরের জন্য সম্পাদিত

হবে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে আরও পঁাচ বছর বলবৎ থাকবে। তবে ৬ মাসের নোটিশে যেকোনো পক্ষ চুক্তিটি বাতিল করতে পারবে।

ওজোপাডিকো ও চীনা কোম্পানির মধ্যে চুক্তি

সরকারি মালিকানাধীন ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো) এবং চায়নার হেক্সিং ইলেকট্রিক্যাল কোম্পানি চায়না ৪৯ ও ৫১ অংশীদারিত্বে একটি কোম্পানি করার প্রস্তাব মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে। এই কোম্পানির নাম দেয়া হয়েছে বাংলাদেশ স্মাটর্ ইলেকট্রিক্যাল কোম্পানি লিমিটেড।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, স্মাটর্ মিটার থেকে শুরু করে সব ধরনের ইলেকট্রিক্যাল সরঞ্জাম উৎপাদন করতে পারবে। ৫০ কোটি টাকা হবে এটির অথরাইজ ক্যাপিটাল এবং পরিশোধিত হবে ২৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এর মধ্যে ১৪ কোটি ৫৮ লাখ দেবে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি এবং ১৪ কোটি এক লাখ দেবে হেক্সিং। কোম্পানির বাষির্ক উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা হবে ৫ লাখ সিঙ্গেল ফেজ স্মাটর্ পেমেন্ট মিটার।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<13098 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1