শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
গবেষণা তথ্য

৮ মাসে সড়কে প্রাণ গেল ৩২০২ জনের, আহত ৭৮৮৩

জুলাইয়ের তুলনায় আগস্টে দুঘর্টনা ও প্রাণহানি কমেছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, জুলাইয়ে ৩৪৬টি দুঘর্টনায় ৩৭৪ জন ও আগস্টে ৩১৪টি দুঘর্টনায় ৩৫৭ জন নিহত হন
যাযাদি রিপোটর্
  ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

গত আট মাসে ৩,০১৩টি সড়ক দুঘর্টনায় ৩,২০২ জন নিহত ও ৭,৮৮৩ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে ৪১১ জন নারী ও ৪৫৩ শিশু রয়েছে। জাতীয় মহাসড়ক, আন্তঃজেলা সড়ক ও আঞ্চলিক সড়কসমূহে এসব প্রাণঘাতী দুঘর্টনা ঘটে।

তবে জুলাই মাসের তুলনায় আগস্টে দুঘর্টনা ও প্রাণহানি- দুটিই কমেছে। বেসরকারি সংগঠন নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির (এনসিপিএসআরআর) নিয়মিত মাসিক জরিপ ও পযের্বক্ষণ প্রতিবেদনে এই পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে।

বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সংগঠনটি এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৯ জুলাই থেকে সপ্তাহব্যাপী রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে সড়ক দুঘর্টনাবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং প্রধানমন্ত্রীর কঠোর নিদের্শনার পরিপ্রেক্ষিতে সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা আসতে শুরু করেছে।

জুলাইয়ের তুলনায় আগস্টে দুঘর্টনা ও প্রাণহানি কমেছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, জুলাইয়ে ৩৪৬টি দুঘর্টনায় ৪৪ নারী ও ৬৭ শিশুসহ ৩৭৪ জন নিহত হয়। আগস্টে ৩১৪টি দুঘর্টনায় ৫০ নারী ও ৬০ শিশুসহ নিহত হয় ৩৫৭ জন। তবে জুলাইয়ে আহতের সংখ্যা ৯০২ হলেও আগস্টে তা বেড়ে ১,০০৬ হয়েছে।

এছাড়া দুঘর্টনা রোধসহ সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কতৃর্পক্ষ (বিআরটিএ) ও পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতা অনেক বাড়লেও তা পযার্প্ত নয় বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়।

জাতীয় কমিটির পযের্বক্ষণে বলা হয়, খোদ রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করে বেপরোয়া গাড়ি চলাচল, ভাঙা অবকাঠামো রঙচটা বাসে যাত্রী পরিবহন, অপ্রাপ্তবয়স্কদের দিয়ে লেগুনা ও ইজিবাইক চালানো, ফুটপাতের ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচল এবং সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের নিদের্শনা লঙ্ঘন করে মহাসড়কে তিন-চাকার যানবাহন চলাচলের ঘটনা অহরহ ঘটছে।

তবে বিআরটিএ ও পুলিশের বতর্মান তৎপরতা বছরজুড়ে অব্যাহত থাকলেও নিকট ভবিষ্যতে দুঘর্টনা ও সড়কের বিশৃঙ্খলা অনেক কমে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয় প্রতিবেদনে।

জাতীয় কমিটির প্রতিবেদনে দুই ঈদে দুঘর্টনার পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ১২ জুন থেকে ২৪ জুন পযর্ন্ত ১৩ দিনে ঈদ-যাতায়াতে (ঈদুল ফিতর) ২১১টি দুঘর্টনায় ৩৭ নারী ও ৩২ শিশুসহ মোট ২৪৮ জন নিহত ও ৭১৭ জন আহত হয়েছেন। ১৫ আগস্ট থেকে ২৫ আগস্ট পযর্ন্ত ১১ দিনে ঈদ-যাতায়াতে (ঈদুল আজহা) দুঘর্টনা ঘটেছে ৯৬টি। এসব দুঘর্টনায় ২২ নারী ও ২১ শিশুসহ মোট ১৪২ জন নিহত ও ৩১৮ জন আহত হয়েছে।

জাতীয় কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, জানুয়ারিতে ৪০৩টি দুঘর্টনায় ৫৪ নারী ও ৩০ শিশুসহ ৪২৫ জন নিহত ও ৯৩৩ জন আহত হয়েছেন। ফেব্রæয়ারিতে ৩৭৩ দুঘর্টনায় ৫৩ নারী ও ৪৮ শিশুসহ ৪১৩ জন নিহত ও ৯৯৫ জন আহত হয়েছেন। মাচের্ ৩৭৯টি দুঘর্টনায় নিহত ও আহত হয়েছেন যথাক্রমে ৩৮৫ ও ৯৭১ জন; নিহতের তালিকায় ৫৩ নারী ও ৭৯ শিশু রয়েছে। এপ্রিলে ৪০৮টি দুঘর্টনায় ৫০ নারী ও ৫০ শিশুসহ ৩৮৯ জন নিহত ও ১,০৩২ জন নিহত হয়েছে। মে মাসে দুঘর্টনা ঘটেছে ৩৬৩টি। এতে ৪০ নারী ও ৫১ শিশুসহ নিহত হয়েছেন ৩৮১ জন এবং আহত হয়েছেন ৮৪৬ জন। জুনে ৪২৭টি দুঘর্টনায় ৬৭ নারী ও ৬৮ শিশুসহ ৪৭৮ জন নিহত ১,১৯৮ জন আহত হয়েছেন।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বছরের প্রথম ছয় মাসে প্রাণঘাতী সড়ক দুঘর্টনাগুলোর অধিকাংশই ঘটেছে বাস ও ট্রাকসহ বিভিন্ন ধরনের ভারী যানবাহনের চালকদের অসতকর্তা ও খামখেয়ালিপনার কারণে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষগুলোর যথাযথ নজরদারির অভাব রয়েছে। এ ছাড়া সড়ক ও মহাসড়কে যান্ত্রিক-অযান্ত্রিক মিলিয়ে ক্ষুদ্র যানবাহনের সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি, মহাসড়কসহ দূরপাল্লার সড়কে মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহন, পথচারীদের অসতকর্তা এবং সব ধরনের চালকদের মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব সড়ক দুঘর্টনার অন্যতম কারণ বলে পযের্বক্ষণে উল্লেখ করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<13465 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1