আজকের যায়যায়দিন

চট্টগ্রাম নগরীর একটি বিপণিকেন্দ্রে ‘মোবাইল চুরির’ ফঁাদ পেতে দুই কিশোরীকে আটকে রেখে ধষের্ণর অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এরা হলেন আব্দুল আউয়াল ওরফে ডালিম (৩০), ফারুক (২৭), কবির (২৭), জাহাঙ্গীর আলম (২৪), বাবলু (২৮) এবং সেলিম (৩৫)।

রোববার রাতভর ঘটনাস্থল জলসা মাকের্ট, পাথরঘাটা ও আলকরণ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে কোতোয়ালি থানার ওসি মো. মহসীন জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, দুই কিশোরীর একজনের মা বাদী হয়ে ধষের্ণর অভিযোগে আটজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। রুবেল (২৫) ও এনাম (২৬) নামে বাকি দুই আসামিকে খুঁজছে পুলিশ।

প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী উদ্বোধন / বিএনপির চিন্তাধারা ছিল আমরা হাত পেতে চলব : প্রধানমন্ত্রী

আসামিরা সবাই জলসা মাকের্ট এলাকার বিভিন্ন দোকানের কমর্চারী ও মালিক।

দুই কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে ওসি মহসীন জানান।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, দুই কিশোরীর একজন আগে জলসা মাকেের্টর একটি দোকানে চাকরি করত। সেখানকার পঞ্চম তলায় রাশেদ নামে এক ব্যক্তির মালিকানাধীন জয়ন্তী বোরকা হাউসে কমর্চারী নিয়োগ দেয়া হবে জানতে পেরে রোববার এক বান্ধবীকে (১৬) সঙ্গে নিয়ে ওই কিশোরী (১৭) সেখানে যায়।

ফেরার সময় রাশেদের দোকানের কমর্চারী ডালিম ও সেলিম নামে আরেক দোকানি মোবাইল ফোন চুরির জন্য সন্দেহভাজন হিসেবে ওই দুই কিশোরীকে ডেকে নিয়ে যায়। প্রথমে রাশেদের দোকানে এবং পরে সেলিমের দোকানে নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তারা।

কোতোয়ালি থানার পরিদশর্ক (তদন্ত) কামরুজ্জামান বলেন, ‘এরপর সালিশের কথা বলে দুই কিশোরীকে জলসা মাকেের্টর নবম তলার ছাদে নিয়ে গিয়ে তাদের ধষর্ণ করে আসামিরা।’

‘দুই কিশোরী বাসায় না ফেরায় তাদের স্বজনরা খুঁজতে বের হন। জলসা মাকের্ট সমিতির লোকজনের সহায়তায় রাত সাড়ে ১০টার দিকে ছাদে তাদের খুঁজে পান পরিবারের সদস্যরা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যায়।

ডালিম এবং এনাম অন্য আসামিদের জলসা মাকেের্টর ছাদে ডেকে নিয়ে যায় বলে পুলিশ কমর্কতার্রা জানিয়েছেন।