ঢাকার মিরপুর, সাভার ও মাদারীপুরে পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিনজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া লালমনিরহাটে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। রোববার রাতে ও সোমবার ভোরে এসব বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
ঢাকা : রাজধানীর মিরপুরের বেড়িবঁাধ এলাকায় র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে এক মাদক বিক্রেতা নিহত হয়েছেন।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি মিজানুর রহমান বলেন, একদল মাদক বিক্রেতা একত্রিত হয়েছে এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ভোরে র্যাব-২ সদস্যরা মিরপুর বেড়িবঁাধ এলাকায় অভিযানে যায়। এ সময় মাদক বিক্রেতারা র্যাব সদস্যদের লক্ষ করে গুলি ছুড়তে থাকে। আত্মরক্ষাথের্ র্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এতে এক মাদক বিক্রেতার মৃত্যু হয়।
তাৎক্ষণিকভাবে তার পরিচয় জানা যায়নি। এ সময় র্যাবের দুই সদস্যও আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল ও বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে।
মাদারীপুর : মাদারীপুর পুলিশ সুপার (এসপি) সুব্রত কুমার হালদার জানান, সদর উপজেলার শিরখাড়া এলাকায় ভোরে একদল ডাকাত ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছেÑ এমন সংবাদের ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে ডাকাতরা গুলি ছোড়ে। এ সময় আত্মরক্ষাথের্ পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। গোলাগুলির একপযাের্য় ডাকাত দল পালিয়ে যায়।
ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আলীম মোল্লা ওরফে আলী মোল্লা নামে একজন নিহত হন। মাদারীপুর ও রংপুরসহ বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে একাধিক ডাকাতি ও চুরির মামলা রয়েছে। তিনি ডাসার থানার পূবর্ কমলাপুর গ্রামের সামসুল হক মোল্লার ছেলে। ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতাল মগের্ পাঠানো হয়েছে বলেও জানান এসপি সুব্রত কুমার।
সাভার (ঢাকা) : সাভারে মাদকদ্রব্য পাচারকালে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ শীষর্ এক মাদক বিক্রেতার মৃত্যু হয়েছে। সোমবার ভোরে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের বেড়িবঁাধ এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় র্যাবের দুই সদস্য আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে র্যাব।
নিহত আসাদুল হকের (৩০) বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। অভিযানের সময় ঘটনাস্থল থেকে এক হাজার পিস ইয়াবা, চার কেজি গঁাজা, একটি বিদেশি পিস্তল ও একটি শটগান উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব-২-এর এএসপি সাইফুল মালিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
লালমনিরহাট : লালমনিরহাট সদর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মনসুর আলী (৩৫) নামে এক ডাকাত সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছে। মনসুর আলী অপহরণ ও মাদকের ১১টি মামলার আসামি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কমর্কতার্ (ওসি) মাহফুজ আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
রোববার রাতে উপজেলার বড়বাড়ি ইউনিয়নের বিদ্যাবাগিশ এলাকায় পুলিশের সঙ্গে এ ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়। গুলিবিদ্ধ মনসুর আলী ওই গ্রামের নিয়াজ উদ্দিন আহমেদের ছেলে।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার রাতে বিদ্যাবাগিশ এলাকা থেকে মনসুর ডাকাতকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তার দেয়া তথ্যমতে বাকিদের গ্রেফতার করতে তাকে নিয়ে ওই এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় ডাকাত চক্রটি পুলিশের ওপর হামলা করে মনসুরকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। পরে পুলিশ শটগানের দুই রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এতে মনসুর দুই পায়ে গুলিবিদ্ধ হন।
গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে গ্রেফতার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভতির্ করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে চারটি রামদা, দুটি ধারালো ছোরা ও বেশ কিছু লাঠি জব্দ করা হয়েছে।