কারিগরি দক্ষতা ও উন্নত প্রযুক্তির অভাবকে অনলাইন ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অথর্পাচারের প্রধান দুই কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) এক গবেষণায়।
বুধবার এক সেমিনারে নতুন পেমেন্ট সিস্টেমে (অনলাইন ও মোবাইল) অথর্পাচার-সংক্রান্ত একটি গবেষণা প্রবন্ধে বিআইবিএমের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) শাহ মো. আহসান হাবিব এ তথ্য জানান।
মিরপুরে বিআইবিএম মিলনায়তনে এই সেমিনার হয়।
বিআইবিএমের গবেষণায় দেখা গেছে, ৫৬ শতাংশ ব্যাংকই মনে করে অনলাইন ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অথর্পাচারের পেছনে ভ‚মিকা রয়েছে ব্যাংকসহ বিভিন্ন আথির্ক প্রতিষ্ঠানে কারিগরি দক্ষতা না থাকা। আর ৪১ শতাংশ ব্যাংক উন্নত প্রযুক্তির অভাবকে দায়ী করেছে।
এ ছাড়া ২১ ও ১৮ শতাংশ ব্যাংক নজরদারির অভাব ও দ্রæত লেনদেনকে অথর্পাচারে দায়ী করেছে।
অনলাইন ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ে অথর্পাচারে রোধে ‘ক্যাশলেস সোসাইটি’ সৃষ্টির ওপর জোর দেন সেমিনারে অংশ নেয়া অতিথিরা।
আইপে সিস্টেম লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নিবার্হী জাকারিয়া স্বপন বলেন, ‘আমাদের ক্যাশসেল সোসাইটির দিকে এগিয়ে যেতে হবে, যদি সেটা করা সম্ভব হয় নজরদারি আরও বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে এবং অপরাধ কমে আসবে।’
তিনি বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং (বিকাশ-রকেট) প্রতিষ্ঠানে মধ্যে লেনদেন চালুর আহŸান জানান। সাউথ-ইস্ট ব্যাংকের যুগ্ম ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম মাইনুদ্দীন চৌধুরী বলেন, ‘অথর্পাচার প্রতিরোধে ব্যাংক ও আথির্ক প্রতিষ্ঠানগুলোকে একটি ক্যাশলেস ইকোসিস্টেমের মধ্যে চলে আসা প্রয়োজন।
প্রযুক্তিগত সমস্যা প্রতিরোধে প্রযুক্তিগত সমাধানেরই প্রয়োজন।’
এজেন্ট নিবার্চনের সময় ব্যাংকগুলোকে আরও সতকর্ হওয়ার পরামশর্ দেন ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নিবার্হী মাইনুদ্দীন আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘এজেন্ট নিয়োগ নিয়ে ব্যাংকগুলোর মধ্যে অস্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা বন্ধ করতে হবে।’
সেমিনারে বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম ডিপাটের্মন্টের মহাব্যবস্থাপক লীলা রশিদ, বিআইবিএমের মহাপরিচালক তৌফিক আহমদ চৌধুরী, বিআইবিএমের অধ্যাপক বরকত-এ-খোদা উপস্থিত ছিলেন।