সাতচল্লিশের দেশভাগ ও মুক্তিযুদ্ধের পরবতীর্ সময়ে বেহাত হয়ে যাওয়া ২০ বিঘা জমির মধ্যে দেড় বিঘা ফিরে পেয়েছে ঢাকেশ্বরী মন্দির।
শনিবার রাজধানীতে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়।
পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নিমর্ল কুমার চ্যাটাজির্ বলেন, এখন মন্দিরের মোট জমির পরিমাণ দঁাড়িয়েছে ৬.১ বিঘা।
‘২০ বিঘা জমির মধ্যে আমরা পঁাচ বিঘার কিছু বেশি জমি ভোগ করছিলাম। এখন প্রধানমন্ত্রীর নিদেের্শ আরও দেড় বিঘা পেলাম আমরা। সেখান থেকে বিভিন্ন স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার নিদের্শনা দিয়েছেন। মন্দিরের দক্ষিণ-পশ্চিমের দেড় বিঘা জমি আমরা ফিরে পেয়েছি।’ অবশিষ্ট ১৩.৯ বিঘা জমি ফিরে পেতে সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার কথাও বলেন তিনি।
তিনি জানান, মন্দিরের ভ‚মি সমস্যা নিয়ে ১৯৬৩ সালে দায়ের হওয়া এক মামলার কাযর্ক্রম চলছে এখনো। নাভানা গ্রæপের
দখলে থাকা দুই বিঘা জমি ছাড়াও পাকিস্তান আমলে মমিন মোটরসের দখলে থাকা তিন বিঘা জমি নিয়ে মামলা নিয়ে লড়াই করছে পূজা উদযাপন পরিষদ।
ঢাকেশ্বরী দেবীর প্রতিমা যেখানে স্থাপিত সেসব জায়গা ঘিরে ভাওয়াল রাজা শ্রীযুক্ত রাজেন্দ্র নারায়ণ রায় বাহাদুরের আমলে ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে ঢাকেশ্বরী মন্দিরের জন্য ২০ বিঘা জায়গা দেবোত্তর ভ‚মি হিসেবে রেকডর্ভুক্ত হয়।
দেশে আনুষ্ঠানিক ভ‚মি জরিপ শুরু হলে মন্দিরের পুরো জায়গা দেবোত্তর ভ‚মি হিসেবে ঢাকাস্থ মৌজায় সিএস ৩০ থেকে ৪৩ নম্বর দাগে রেকডর্ভুক্ত হয় এবং নকশায় স্পষ্ট করে পাকা পিলারসহ সীমানা নিধার্রণ করা হয়।
এরপর পাকিস্তান আমলে অনুষ্ঠিত এসএ জরিপে লালবাগস্থ মৌজায় ৯৪-৯৭ ও ১০১-১১৭ নং দাগগুলো এসএ রেকডর্ভুক্ত হয়।
নিমর্ল চ্যাটাজির্ বলেন, দেবোত্তর ভ‚মি জবরদখল করে অবৈধ বস্তি ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠায় সরু পথ দিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করতে হয়, এতে মন্দিরের পবিত্রতা যেমন নষ্ট হয়, তেমনি ভক্ত, পযর্টক, এমনকি সরকার, রাষ্ট্র ও বিদেশি দূতাবাসের গুরুত্বপূণর্ ব্যক্তিদের নিরাপত্তাও ক্ষুণœ করা হয়।